
ভারত স্পর্শ করল অস্ট্রেলিয়ার ঈর্ষণীয় রেকর্ড! সিরাজ পেতে পারেন বড় সুখবর, কুলদীপের ফোকাস স্থির
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজের পর একদিনের সিরিজও জিতে নিল ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হেরে যাওয়ার পর শেষ দুটি ম্যাচে দাপট দেখাল শিখর ধাওয়ানের দল। দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ৯৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ভারতের সিরিজ জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা।
|
অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড স্পর্শ
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ১৮৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরে নিয়েছে ভারত। এই পরাজয়ের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলতে গেলে যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট খেলতে হবে। এদিনের দুরন্ত জয়ের সুবাদে ভারত স্পর্শ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ১৯ বছরের পুরানো ঈর্ষণীয় রেকর্ড। ২০০৩ সালে অজিরা যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেই ফাইনালের জয়টি ছিল সেই বছরে তাদের ৩৮তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয়। এরপর এদিনই ভারত চলতি বছরে ৩৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয় নিশ্চিত করল। ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অজিদের রেকর্ডটি ভেঙে দেওয়ার সুযোগ পাবে রোহিত শর্মার ভারত। অর্থাৎ টি ২০ বিশ্বকাপেই ভারত কোনও বছর সর্বাধিক ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ডটি গড়ে ফেলবে।
|
খুশি গব্বর
দলের জয়ে খুশি অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান বলেন, যেভাবে দল খেলেছে তাতে প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য গর্বিত। প্রথম ম্যাচটিতে হেরে গেলেও চারিত্রিক দৃঢ়তা আমরা দেখিয়েছিলাম। কয়েকটি ক্যাচ পড়েছিল, তবে সামগ্রিকভাবে আমরা একেবারেই চাপে পড়িনি। প্রসেসে গুরুত্ব দিয়েছি। আমি নিজেও খেলা উপভোগ করছি। দলের জন্য ভালো খেলা উপহার দিতে চাই। কঠিন ব্যাটিং পিচেও ক্রিকেটাররা চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রমাণ রেখেছেন। বোলাররাও এদিন অসাধার পারফর্ম করেছেন।

সিরাজ সিরিজ-সেরা
আজকের ম্যাচে ২টি এবং চলতি সিরিজে ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কারটি পেয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য এখনও জসপ্রীত বুমরাহর পরিবর্তর নাম ঘোষণা করেনি বিসিসিআই। মহম্মদ শামি ফিট হয়ে গিয়েছেন। তিনিই বুমরাহর বিকল্প হতে চলেছেন বলে খবর। এনসিএ-তে তিনি ছন্দে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ম্যাচ প্র্যাকটিসের খামতি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে শামি পুষিয়ে নিয়ে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দীপক চাহার ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ফিট হতে পারবেন কিনা স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে সিরাজ রিজার্ভ ক্রিকেটারদের তালিকায় ঢুকে পড়বেন চাহারের পরিবর্ত হিসেবে। এদিন তিনি বলেন, ভালো দলের বিরুদ্ধে ভালো খেলা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। আমাকে দায়িত্ব নিতেই হতো। প্রথম থেকেই সঠিক লেংথে বল করা লক্ষ্য ছিল। একজন জোরে বোলারের মধ্যে সব সময় আগুন ও প্যাশন থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।

কুলদীপ পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট
কুলদীপ যাদব এদিন ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন। টি ২০ বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও এই পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। তাঁর কথায়, অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের উইকেটটি পারফেক্ট ছিল। আমি বোলিং উপভোগ করেছি। ফলাফলের কথা না ভেবে প্রসেসে ফোকাস রেখে নিজের ছন্দের বিষয়ে সচেতন ছিলাম। সঠিক জায়গায় বল ফেলার চেষ্টা করে গিয়েছি। আমার পরবর্তী লক্ষ্য সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টে ভালো খেলা। আগামী বছরের বিশ্বকাপ নিয়েও ভাবছেন না। কুলদীপের কথায়, বিশ্বকাপ অনেক দূরে। আমি আগের চেয়ে বাস্তবকে অনেক বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। ফলে যে সিরিজে খেলব তাতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলাই আমার মূল লক্ষ্য।