শিখর ধাওয়ানের ভারতকে সমীহ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা, টি ২০ বিশ্বকাপে ব্রাত্য শার্দুল আক্ষেপ কাটাতে মরিয়া
লখনউয়ে ভারতকে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে পরাস্ত করে রাঁচিতে পা রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাল ধোনির শহরে ডু অর ডাই ম্যাচ মেন ইন ব্লু-র জন্য। ভারতীয় শিবির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রোটিয়ারাও সমীহের চোখেই দেখছেন শিখর ধাওয়ানের দলকে। বৃষ্টি বাধা না হয়ে দাঁড়ালে তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআই হাড্ডাহাড্ডিই হতে চলেছে।
প্রত্যয়ী শার্দুল
ম্যাচের আগের দিন আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। প্রথম ম্যাচে ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মূল্যবান ৩৩ রান যোগ করেছেন ব্য়াট হাতে। টি ২০ বিশ্বকাপের দলে থাকতে না পারার হতাশা থাকলেও শার্দুল দাবি করেছেন, এখনও তাঁর মধ্যে অনেক ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে। টি ২০ দলে কামব্যাকের লক্ষ্যে বোলিংয়ের পাশাপাশি জোর দিচ্ছেন ব্যাটিংয়েও। শার্দুলের কথায়, অস্ট্রেলিয়া দলে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ৮-৯ নম্বরে ব্যাট করেন। ইংল্যান্ডেরও ব্যাটিং গভীরতা ভালোই। ফলে সাত, আট বা নয়ে নেমে যদি কেউ ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেন তাহলে খোলা মনে খেলতে পারে টপ ও মিডল অর্ডার। অতিরিক্ত ১৫-২০ রান যোগ করা গেলে যে কোনও সময় তা দলের পক্ষে ইতিবাচক হয়। রাঁচিতে খেলতে নামার আগে শার্দুল আরও জানিয়েছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এখনও মিস করে ভারতের ড্রেসিংরুম।
শাহবাজের অভিষেক?
দীপক চাহারের পরিবর্ত হিসেবে ওয়াশিংটন সুন্দরকে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচের দলে নেওয়া হয়েছে। যদিও ভারত প্রথম ম্যাচের পেস অ্যাটাকে এই ম্যাচে বদল আনবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রবি বিষ্ণোইয়ের জায়গায় খেলানো হতে পারে শাহবাজ আহমেদকে। বাংলার এই অলরাউন্ডারের রাঁচিতেই হতে পারে আন্তর্জাতিক অভিষেক। ভারতের বোলারদের ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে যে সমালোচনা চলছে তা মানতে নারাজ শার্দুল। তাঁর কথায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজ জেতার পরেও বোলারদের সমালোচনা হয়েছে। আমরা সিরিজ জিতেছি, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদেরও তো সমালোচনা করা উচিত। যদি কারও ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয় তাহলে কোন ধরনের পিচে, কোন কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে সেগুলিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। অনেক সময় ওডিআইয়ে সাড়ে তিনশো রান ওঠে। সেখানে তো বোলাররা মার খাবেনই। ভারত কিন্তু একপেশে ম্যাচ জেতেনি। সব ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। তার মধ্যে একটা-দুটো আমরা হেরেছি। কিন্তু বেশিরভাগই জিতেছি। ফলে ধারাবাহিকতা নেই, এটা মানা যায় না।
ভারতকে সমীহ
রাঁচিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামার আগে ভারতকে সমীহ করছে প্রোটিয়া শিবির। কেশব মহারাজ আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমি ভারতের এই দলকে দ্বিতীয় সারির দল বলতে পারছি না। ভারতে এত প্রতিভা রয়েছেন যে তারা একসঙ্গে চার-পাঁচটি আন্তর্জাতিক মানের দল নামাতে পারে। ভারতের এই দলে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের আইপিএল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা বিশ্বমানের পারফর্মার। প্রস্তুতির জন্যও ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা উপভোগ করছেন মহারাজ। একটা সময় অবধি বিশ্বের এক নম্বর টি ২০ বোলার ছিলেন তাবরেজ শামসি। তাঁকে ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শামসির বোলিং খারাপ হচ্ছে না বলেই দাবি মহারাজের। ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস ছিটকে গিয়েছেন। মার্কো জানসেনকে ওডিআই সিরিজের দলে নেওয়া হয়েছে। শামসিকে বসিয়ে অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইও এবং জানসেনকে কাল প্রথম একাদশে আনতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
একনজরে সম্ভাব্য এগারো
একনজরে
দেখে
নেওয়া
যাক
ভারত
ও
দক্ষিণ
আফ্রিকার
সম্ভাব্য
একাদশ:
ভারত-
শিখর
ধাওয়ান
(অধিনায়ক),
শুভমান
গিল,
ঋতুরাজ
গায়কোয়াড়,
ঈশান
কিষাণ,
শ্রেয়স
আইয়ার,
সঞ্জু
স্যামসন
(উইকেটকিপার),
শার্দুল
ঠাকুর,
রবি
বিষ্ণোই
বা
শাহবাজ
আহমেদ,
আবেশ
খান,
কুলদীপ
যাদব,
মহম্মদ
সিরাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা- কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), জ্যানেম্যান মালান, তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, ওয়েন পারনেল বা অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইও, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাডা, তাবরেজ শামসি বা মার্কো জানসেন বা আনরিখ নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি।