অশ্বিন-শ্রেয়াসের ব্যাটে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের, দ্বিতীয় টেস্টেও হার বাংলাদেশের
ভারতের সমনে জয়ের জন্য ছোটো টার্গেট রেখেছিল বাংলাদেশ। তা তাড়া করতে নেমেই হিমিশিম খেতে হল বিরাট কোহলিদের দাপুটে ব্যাটিং লাইন-আপকে।
ভারতের সমনে জয়ের জন্য ছোটো টার্গেট রেখেছিল বাংলাদেশ। তা তাড়া করতে নেমেই হিমিশিম খেতে হল বিরাট কোহলিদের দাপুটে ব্যাটিং লাইন-আপকে। শেষমেশ সাত উইকেট হারিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিতে সফল হল ভারত। ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন অশ্বিন ও শ্রেয়াস।
১০০ রানের টার্গেটেও ভারতের বিপর্যয়
দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতের সামনে জয়ের জন্য মাত্র ১০০ রানের টার্গেট রেখেছিল বাংলাদেশ। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু রবিবার চতুর্থ দিনের সকালেই পর পর দুটি উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে ভারতের সাধের ব্যাটিং। তখন ব্যাঘ্রগর্জন করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে। কিন্তু রুখে দাঁড়ালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার।
শ্রেয়াসের সঙ্গে অশ্বিনের চওড়া ব্যাটে জয়
আর কোনও উইকেট না খুয়েই অশ্বিন ও শ্রেয়াস ভারতকে বৈতরমী পার করে দেন এ যাত্রায়। ছোটো টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত যেভাবে হোঁচট খেয়েছিল তাতে ম্যাচ প্রায় হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এদিন শ্রেয়াসের সঙ্গে অশ্বিনের চওড়া ব্যাট ভারতকে জয়ের পথ দেখিয়ে দিল। ভারতকে নিশ্চিন্ত করলেন তাঁরা।
জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেট ছিল
মীরপুর টেস্টে প্রথম থেকেই ভারতের দাপট ছিল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৭ রানে বাংলাদশকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন অশ্বিন-ঊমেশরা। তারপর অবশ্য বড় রানের লিড নিতে পারেনি ভারত। ভারতের ইনিংস শেষ হয়েছিল ৩১৪ রানে। তবু এই টেস্টে ৮৭ রানের লিডটা কম নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ শেষ হয়েছিল ২৩১ রানে। জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেট ছিল।
প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট পতন
কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকে চাপে ছিল ভারত। প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে তারা উইকেট খোয়াতে শুরু করে। তিন রানের মাথায় ফিরে যান অধিনায়ক কে এল রাহুল। চেতেশ্বর পূজারা ফেরেন ১২ রানের মথায়। ২৯ রানে আউট অর ওপেনার শুভমান গিল। শেষে বিরাট কোহলিও বিদায় নেন ৩৭ রানের মাথায়। তখন ভারত ধুঁকছে। তৃতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হয় ভারতের রান তখন ৪৫ চার উইকেটে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের রাস্তায় ভারত
শেষ দিন উত্তেজনাপূর্ণ। ভারতের হয়ে ব্যাট করতে নামেন দুই 'নাইটপ্রহরী' অক্ষর প্যাটেল ও জয়দেব উনদকাট। রবিবার ব্যাট করতে নেমেই জয়দেব উননদকাট, ঋষভ পন্থ ও অক্ষর প্যাটেল প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ায় সাত উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ভারত। ভারতের পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন অশ্বিন ও শ্রেয়াস। তারা প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়ে ভারতকে বহু আকাঙ্খিত জয় এনে দেন। কারণ এই জয় তাদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারে।
অশ্বিন ও শ্রেয়াস রুখে দাঁড়াতেই শেষ বাংলাদেশ
বাংলাদশের হয়ে বল হাতে এদিন চমক দেন মেহেদি হাসান মির্জা। তবে তিনি পাঁচ উইকেট নিয়েও ভারতের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেননি। একা মেহেদি ভারতকে ঘাস ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অশ্বিন ও শ্রেয়াস রুখে দাঁড়াতেই শেষ বাংলাদেশ। আশা জাগিয়েও ভারতে হারাতে ব্যর্থ তারা।