Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
রান্না শেষ? কাটা সবজির খোসা ফেলবেন না, এই গরমে উজ্জ্বল ত্বক পেতে এর বিকল্প নেই -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
ব্যাটে-বলে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করে বিশ্বকাপের ফাইনালে মিতালি বাহিনী
অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনাল ম্যাচে ব্যাটে-বলে ধরাশায়ী করে মহিলাদের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল মিতালি রাজের দল।
ডার্বিশায়ারের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনাল ম্যাচে ব্যাটে-বলে ধরাশায়ী করে মহিলাদের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল মিতালি রাজের দল। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারাল ভারতের প্রমিলা বাহিনী। এবার ফাইনালে সামনে ইংল্যান্ড।
এদিন সকাল থেকেই ডার্বিশায়ারের আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে বেশি কয়েকঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। ফলে খেলা শুরু হতে দেরি হওয়ায় ওভার কমে ৪২ হয়ে যায়।
এই অবস্থায় টসে জিতে ভারত অধিনায়ক মিতালি রাজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে স্মৃতি মন্দনার (৬ রান) উইকেট হারানোর পরে আর এক ওপেনার পুনম রাউত-ও (১৪ রান) তাড়াতাড়ি ফেরেন। তবে মিডল অর্ডারে ফের একবার দলের ভরাডুবি আটকে দেন মিতালি।
এদিন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা ছিলেন হরমনপ্রীত কউর। মাত্র ১১৫ বলে ১৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। হরমনপ্রীতের এই রেকর্ড রানের সৌজন্যে মাত্র ৪২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান তোলে ভারত। হরমনপ্রীতকে শেষদিকে সঙ্গত দেন দীপ্তি শর্মা (২৫ রান) ও বেদা কৃষ্ণমূর্তি (১৬ রানে অপরাজিত)।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। বেথ মুনি-র (১ রান) উইকেট নিয়ে ব্রেক-থ্রু এনে দেন শিখা পাণ্ডে। এরপরে দলের হয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নেন অভিজ্ঞ ঝুলন গোস্বামী। ফর্মে থাকা সবচেয়ে বিধ্বংসী অজি ব্যাটসওমেন মেগ ল্যানিংকে (০ রান) বোল্ড করে ফেরান ঝুলন।
এরপরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। মাঝে এলিসে পেরি (৩৮ রান) ও এলিসে ভিলানি (৭৫) কিছুটা পার্টনারশিপ গড়লেও তা যথেষ্ট ছিল না। শেষদিকে আর কোনও অজি ব্যাটসওমেন ক্রিজে টিঁকতে পারেননি।
শেষদিকে অ্যালেক্স ব্ল্যাকওয়েল (৫৬ বলে ৯০ রান) অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করলেও ততক্ষণে আর ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় ছিল না। ঝুলন, শিখারা তখন ঘাড়ে চেপে বসেছে অস্ট্রেলিয়ার। যদিও শেষ উইকেট পড়ার আগে উৎসুক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। তবে কখনও মনে হয়নি ম্যাচ ভারত হেরে যাবে। বরং গোটা ম্যাচে কর্তৃত্ব দেখিয়ে ইতিহাস গড়ার পথ প্রশস্ত করে ফাইনালে মিতালি বাহিনী।
