রোহিতের ক্যাপ্টেন্সিতে ধোনির ছায়া, ফাটকা খেলে মগজাস্ত্রের কেরামতিতে বাজিমাত হিটম্যানের
চাপের মুখে ফাটকা খেলে বাজিমাত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ম্যাচে শিবম দুবে রান খেলেও তাঁকে দিয়ে ১৬ তম ওভার করিয়ে বাজিমাত করেন রোহিত। অন্য কোনও অধিনায়ক হলে সম্ভবত কঠিন পরিস্থিতে তার হাতে বল ধরাতেন না।
চাপের মুখে ফাটকা খেলে বাজিমাত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ম্যাচে শিবম দুবে রান হজম করলেও তাঁকে দিয়ে ১৬ তম ওভার করিয়ে বাজিমাত করেন রোহিত। অন্য কোনও অধিনায়ক হলে সম্ভবত কঠিন পরিস্থিতে তার হাতে বল ধরাতেন না। কিন্তু ক্রিকেট এক বলের খেলা! সেকারণেই বলা হয় নো রিক্স, নো গেইন! আর সেটাই আরও একবার প্রমাণ করলেন অধিনায়ক রোহিত।
|
ঝুঁকি নিয়ে দুবেকে দিয়ে বোলিং করানোর সিদ্ধান্ত
ঝুঁকি নিয়ে দুবের হাতে বল তুলে দিতেই ম্যাচের রঙ ভারতের পক্ষে পাল্টে যায়। ১৬তম ওভারে দুবের খরচ মাত্র ১ রান। তার চেয়ে যেটা বড় কথা মারকাটারি ব্যাটিং ছন্দে থাকা মহম্মদ নইমকে বোল্ড আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরান দুবে। ৪৮ বলে ১০টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় ৮১ রান করে আউট হন নইম।
পরের বলেই এরপর আফিফের উইকেট তুলে নেন দুবে। স্লোয়ার বলে বোকা বানিয়ে নিজের বোলিংয়েই আফিফের ক্যাচ নিয়ে তাঁকেও আউট করেন দুবি। এর আগে মুশফিকুরকে বোল্ড করেন নীল জার্সির নবাগত অলরাউন্ডার। প্রাথমিকভাবে এই দুই উইকেটই ম্যাচের রঙ পাল্টে দেয়।
|
চাহালকে নিয়ে ফাটকা খেলা
পরের ওভার অর্থাৎ ১৭ তম ওভারে, রান খেয়ে(১৭তম ওভারে বোলিংয়ে আশার আগে ২৮ রান খরচ করেন) আত্মবিশ্বাস হারানো চাহালকেই ডেকে পাঠান অধিনায়ক হিটম্যান। এখানেও ম্যাজিক। ওভারের পঞ্চম বলে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে বোল্ড করেন চাহাল।
|
দীপককে ম্যচের সঠিক সময়ে ব্যবহার
দীপককে ম্যাচের বিভিন্ন সময়ে দারুণভাবে ব্যবহার করেন রোহিত।নিট ফল ৩.২ ওভারে ৭ রান খরচ করে ৬ উইকেট তুলে নেন দীপক চাহার।
|
রোহিতের ক্যাপ্টেন্সিতে ধোনির ছায়া
ম্যাচে ফাটকা খেলে ধোনির মতো ঠান্ডা মাথার অধিনায়কের পরিচয় দিলেন রোহিত। অতীতে কঠিন পরিস্থিতিতে এমন অনেক ফাটকা খেলে ম্যাচ জিতিয়েছেন ধোনি। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ছিল ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে যোগেন্দর শর্মাকে ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। এবার জেতালেন ভারতের নতুন 'ক্যাপ্টেন কুল' রোহিত শর্মা।