দুর্দান্ত লড়েও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল বাংলাদেশ
শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ইতিহাসকে ছুঁয়ে ফেলতে গিয়ে পারল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এদিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানে ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।
শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ইতিহাসকে ছুঁয়ে ফেলতে গিয়ে পারল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এদিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানে ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে এটাই লেখা থাকবে। তবে এটা লেখা থাকবে না কীভাবে এদিন ৩৮১ রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত লড়াইটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা।
আর একটু হলেই হয়তো ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যেতে পারত। যদি আর খানিকটা রান করত অস্ট্রেলিয়া। তবে সেটা হয়নি। রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশ। এদিন ট্রেন্টব্রিজের মাঠে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ফের একবার দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ নিজে। ফিঞ্চ ৫৩ রানে ফিরে গেলেও ওয়ার্নার ফের একবার অনবদ্য শতরান করেন। মাত্র ১৪৭ বলে তিনি করেন ১৬৬ রান।
তিন নম্বরে নামা উসমান খোয়াজা ৮৯ রান করেন। শেষদিকে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০ বলে ৩২ রান করে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সবমিলিয়ে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
ডেভিড ওয়ার্নার এদিন একটি বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে দুটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপেও একটি দেড়শো রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এদিন ১৬৬ রান করে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ যে এভাবে লড়াই ফিরিয়ে দেবে তা বোঝা যায়নি। ওপেন করতে নেমে তামিম ইকবাল ৬২ রান করেন। সৌম্য সরকার এদিন রান পাননি। করেন মাত্র ১০ রান। তিন নম্বরে নামা শাকিব আল হাসান যখন সেট হয়ে গিয়েছেন ক্রিজে, সেই সময় দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়ে যান শাকিব। তিনি করেন ৪১ রান। এরপর চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম ইনিংস টানতে থাকেন।
এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতা প্রায় অসম্ভব ছিল। এই চাপ মাথায় নিয়েও মুশফিকুর ১০২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে যান। ম্যাচ শেষে অপরাজিতও থাকেন। অন্যদিকে প্রথমে লিটন দাস ও পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এগিয়ে যান রহিম। মাহমুদুল্লাহ ৬৯ রান করে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানে ইনিংসে ইতি টানে। এটাই একদি্নের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এই ম্যাচের পর একদিকে যেমন অস্ট্রেলিয়া ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এল। অন্যদিকে তেমনই বাংলাদেশের পক্ষে নকআউটে যাওয়া এই হারের ফলে অনেক কঠিন হয়ে গেল। ভালো খেললেও এই ম্যাচের শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ৫। শেষ তিনটি ম্যাচে জিতলে তাহলে নক আউটে ওঠার সামান্য হলেও আশা থাকবে মাশরাফি মোর্তাজার দলের কাছে।