ভারতীয় বোলাররা তাঁর ইনিংসের মর্যাদা দিতে না পারলেও নিজের দেওয়া কথা রাখলেন হার্দিক
ভারতীয় বোলাররা তাঁর ইনিংসের মর্যাদা দিতে না পারলেও নিজের দেওয়া কথা রাখলেন হার্দিক
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামার আগে পর্যন্ত কার্যত স্তব্ধ ছিল হার্দিক পাণ্ডিয়ার ব্যাট। দলের প্রথম পছন্দের অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে খেললেও সুপার ১২-এর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪০ রান ছাড়া অন্যান্য যে ম্যাচগুলিতে ব্যাটিং করেছে তাতে প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২ রানে আউট হন পাণ্ডিয়া, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করেন ৫ রান, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে হয় পাণ্ডিয়াকে। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থতা কাটিয়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ছন্দে ফেরা চ্যালেঞ্জ ছিল পাণ্ডিয়ার কাছে। সেই চ্যালেঞ্জ বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডের সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে সম্প্রচারকারী সংস্থার হয়ে ইরফান পাঠানের সঙ্গে কথা বলেন হার্দিক। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার, হার্দিককের থেকে জানতে চেয়েছিলেন ভারতের সেরা অলরাউন্ডারের থেকে ব্যাট হাতে বড় রান কবে দেখা যাবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর ব্যাট কথা বলেনি প্রত্যাশা মতো? জবাবে তারকা পেসারকে হার্দিক জানিয়েছিলেন, হয়তৌ দেড় ঘণ্টা বা তিন ঘণ্টা পর।
হার্দিকের এই মন্তব্যই বুঝিয়ে দেয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। না হলে সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে অন এয়ারে এতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কেউই নিজের রান করার বিষয়ে জোর দিয়ে বলতে পারেন না। দলের প্রয়োজনে যদি তাঁকে ব্যাট হাতে নামতে হয় তা হলে নিজের সেরাটাই যে তিনি দেবেন তার শপথ নিজের কাছে করেই যেন অ্যাডিলেডে নেমেছিলেন হার্দিক।
বেন স্টোকস, আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান, স্য়াম কুরান সমৃদ্ধ বোলিং লাইনআপকে এ দিন কার্যত শাসন করেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁর বির্ধ্বংশী পারফরম্যান্স এবং ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে ইংল্যান্ডের কোনও বোলারই দাঁড়াতে পারেনি।
তবে, শেষ পর্যন্ত বিফলে যায় হার্দিক পাণ্ডিয়ার এই ইনিংস। দলের বোলিং ব্যর্থতার কারণে ভারতীয় দল ১০ উইকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে ছিটকে গিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। অ্যালেক্স হেলসের অপরাজিত ৮৬ এবং জস বাটলারের অপরাজিত ৮০ ইংল্যান্ডের ফাইনালে যাওয়ার পথ মসৃণ করে দেয়।