গুজরাতের মোতেরায় বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন মার্চে
গুজরাতের মোতেরায় বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন মার্চে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতের মোতেরায় বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হবে ২০২০ সালের মার্চে। যে মাঠে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকা আহমেদাবাদের এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম দুনিয়া কাঁপাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১) ১৯৮২ সালে পুরনো সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্টেডিয়াম সংস্কার করে মোতেরা স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়। তখন এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫৩ হাজার মানুষ এক সঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারতেন।
২) ২০১৫ সালে ভেঙে ফেলা হয় মোতেরা স্টেডিয়ামের পুরনো কাঠামো। বড় আঙিনায় নতুন করে তৈরি হতে শুরু করে এই স্টেডিয়াম।
৩) ২০১৭ সালে আহমেদাবাদের মোতেরাকে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানানোর জন্য ঘোষণা করা হয়। ওই বছরই স্টেডিয়ামের নবরূপের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।
৪) প্রায় সাড়ে চার বছর পর ২০২০ সালের মার্চে মোতেরা ফের সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে ব্য়য় হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
৫) নতুন মোতেরা স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১ লক্ষ ১০ হাজার বলে জানানো হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের (১,০০০২৪) থেকে অনেক বেশি।
৬) স্টেডিয়ামটি তৈরি করছে নির্মাণ সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টোউবরো। স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এম/এস পপুলাস-কে।
৭) এই এম/এস পপুলাস মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
৮) ২০২০-র মার্চেই মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেই ম্যাচে এশিয়া একাদশের মুখোমুখি হবে বিশ্ব একাদশ।
৯) মাঠে তিন ধরনের পিচ তৈরির জন্য লাল ও কালো মাটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে।
১০) মাঠের নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই অত্যাধুনিক করা হয়েছে যে বৃষ্টি হলেও ৩০ মিনিটের মধ্যে আউটফিল্ড শুকিয়ে ফেলা যাবে বলে জানিয়েছে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
১১) স্টেডিয়ামে দুটি বড় সিটিং টায়ার্স রাখা হয়েছে। প্রতি টায়ারে ৫০ হাজার মানুষ বসে খেলা দেখতে পারবেন বলে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে। স্টেডিয়ামে ৭৬টি কর্পোরেট বক্স, চারটি দলের ড্রেসিং রুম, বড় সুইমিং পুল, ইন্ডোর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিও থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
১২) মোতেরা স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে তিন হাজার চার চাকা ও দশ হাজার দুই চাকা যান রাখা যাবে।
১৩) ১৯৮৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পুরনো মোতেরা স্টেডিয়ামে ১২টি টেস্ট ও ২৪টি একদিনের ম্যাচ হয়েছে। এই মাঠেই ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৪) ১৯৮৭ সালে এই মাঠেই বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দশ হাজার রান পেরিয়ে গিয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কর। সাত বছর পর এই মাঠেই টেস্ট উইকেট সংখ্যায় লেজেন্ড রিচার্ড হ্যাডলিকে ছুঁয়েছিলেন কপিল দেব।