পাকিস্তানে খেলতে চান না কোনও ক্রিকেটার, তবুও ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন মিয়াদাঁদ
পাকিস্তানে সামনে মাসে খেলার কথা বিশ্ব একাদশের। কিন্তু কতটা নিরাপদ পাকিস্তান তা নিয়ে চলছে খোঁজ খবর।
পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের বাসে হানার পর থেকে কোনও দেশই ক্রিকেট খেলতে যায়না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিলতার জেরে বন্ধ হয়ে আছে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা লড়াইও। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ,শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ কেউই পা রাখেনি পাকিস্তানের মাটিতে।
এই অবস্থায় পাকিস্তানের ক্রিকেট ফ্যানদের ক্রিকেটের আনন্দ দিতে বিশ্ব একাদশের ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছিল পিসিবি। পিসিবি-র পক্ষ থেকে প্রাক্তন জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কথাবার্তাও চালিয়েছিলেন আইসিসি-র সঙ্গে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে সামনের মাসে পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটারর। বিভিন্ন ক্রিকেটারের সঙ্গে ৭৫ ডলার থেকে ১ লক্ষ ডলারের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু গোটা বিষয়টিই এখন আটকে আছে সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্নে। ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশানাল ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশান বা ফিকা নিজস্ব প্রতিনিধি ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছিল পাকিস্তানে। যাঁর দায়িত্ব ছিল পাকিস্তানে আগত বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা। ইংল্যান্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখা রেগ ডিকসনকে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব। কিন্তু এখনও তিনি নিজের রিপোর্ট দাখিল করেননি। যার জেরে ১১ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর অবধি হতে চলা টি-টোয়েন্টি সিরিজকে ঘিরে ধোঁয়াশা জারি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে খবর তাঁরা ভিতরে ভিতরে ভীষণভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়। এদিকে দেশে ক্রিকেট আনতে যাঁদের হাঁড়ির হাল তাঁরা আবার তোপ দাগছেন ভারত তথা বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে। দাউদ ইব্রাহিমের ছেলে যাঁর জামাই পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদ জানিয়েছেন ভারতের সঙ্গে কোথাও কোনও টুর্নামেন্ট না খেলতে। একমাত্র আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে ভারত -পাকিস্তান ম্যাচ হয়। মিয়াদাঁদের দাবি আইসিসি ইভেন্টেও ভারতের বিরুদ্ধে না খেলার কঠিন সিদ্ধান্ত নিক পাকিস্তান।