কার্তিককে নিয়ে গম্ভীরের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন গাভাসকর, DK-কে জোড়া বিশ্বকাপে কেন দেখছেন সানি?
২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে ভারত খেলেছিল প্রথম টি ২০ আন্তর্জাতিক। সেই ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল বীরেন্দ্র শেহওয়াগের ভারত। ২৮ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। কার্তিক বাদে সেই ম্যাচের দলের সকলেই অবসর নিয়েছেন। গতকাল রাজকোটে ভারতের জয়ে অবদান রেখে ফের ম্যাচের সেরা দীনেশ কার্তিক। নিজের ৩৬তম টি ২০ আন্তর্জাতিকে কঠিন পিচে ২৭ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে, ৯টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে সাজানো ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ২০৩.৭০।
কার্তিককে নিয়ে গম্ভীর
সম্প্রতি গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, টি ২০ বিশ্বকাপ অনেক দূরে। ফলে বিশ্বকাপের দলে থাকতে গেলে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যেতে হবে কার্তিককে। কিন্তু যদি তিনি শুধু শেষ তিন ওভারেই ব্যাট করতে চান, তাহলে কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। ভারতের সাত নম্বরে এমন কাউকে দরকার যিনি বল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অক্ষর প্যাটেল বেশি কার্যকরী এবং আমি এই নিরিখে কার্তিককে বিশ্বকাপের একাদশে দেখতে পাচ্ছি না। ঋষভ পন্থ ও দীপক হুডাকে প্রথম একাদশে রাখার পক্ষপাতী আমি। লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, রোহিত শর্মাও থাকবেন। তাঁরা চলে এলে কার্তিকের একাদশে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। যদি তিনি একাদশে না-ই থাকেন তাহলে তাঁকে এখন খেলানোতেও সায় নেই গম্ভীরের।
অনবদ্য ডিকে
২০০৬ সালে টি ২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেকের পর গতকালই তিনি প্রথম অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। ডেল স্টেইন মনে করছেন, বিশ্বকাপে প্রথম যদি কারও নাম পাকা হয় তিনি কার্তিক। গতকাল কার্তিক যখন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ভারতের স্কোর তখন ১২.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৮১। সেখান থেকে কার্তিকের বিস্ফোরক ইনিংস ভারতকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেয়। ১০ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৫৬। শেষ ১০ ওভারে ওঠে ১১৩ রান, যার মধ্যে শেষ পাঁচ ওভারে ৭৩ রান। এটাই প্রোটিয়াদের উপর চাপ বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্তিক আউট হন ১৯.২ ওভারে দলগত ১৫৯ রানের মাথায়।
গাভাসকরের পাল্টা
ডিকে-র দায়িত্বশীল ইনিংস এবং ফিনিশারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন সুনীল গাভাসকর। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক নাম না করে গম্ভীরের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। সানি বলেন, যদি খেলানোই না হয় তাহলে কার্তিককে এখন দলে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে কেউ কেউ নানারকম কথা বলছেন বলে শুনছি। কীভাবে তাঁরা বুঝতে পারলেন যে কার্তিককে খেলানো হবে না ভবিষ্যতে? নামের দিকে না তাকিয়ে ফর্মের দিকে তাকানো হোক। তাহলেই কার্তিককে কেন খেলানো উচিত সেটা বোঝা যাবে।
জোড়া বিশ্বকাপে কার্তিক?
গাভাসকর বলেন, কার্তিক খুব বেশি সুযোগ পাচ্ছেন না। ছয় বা সাতে ব্যাট করতে নামছেন। ফলে তিনি লাগাতার পঞ্চাশ বা তার বেশি রান করবেন সেটা প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। কিন্তু কার্তিক ২০ বলে ৪০ রান করে দিতে পারেন। সেটা তিনি লাগাতার করে যাচ্ছেন। আর সেটা করতে পারছেন বলেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে তিনি রয়েছেন। রাজকোটে ভারত চাপে ছিল, তারপরও কার্তিক যেভাবে রান করলেন সকলেই দেখেছেন। এতে তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা, দৃঢ়সংকল্প এবং একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে তিনি যে এগোচ্ছেন তা স্পষ্ট। কার্তিক দেশের হয়ে নিয়মিত খেলতে চান। সেই লক্ষ্যেই তিনি এগিয়ে চলেছেন। আগামী বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ রয়েছে। তাতেও কার্তিককে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বয়স বড় কথা নয়, পারফরম্যান্সই মূল বিষয়।