'কখনওই মেনে নেওয়া যায় না', অর্শদীপ সহ ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্সে হতাশ গম্ভীর
'কখনওই মেনে নেওয়া যায় না', অর্শদীপ সহ ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্সে হতাশ গম্ভীর
বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য অত্যন্ত অসন্তুষ্ট দ্বিতীয় টি ২০ ম্যাচে ভারতীয় পেসারদের পারফরম্যান্স দেখে। তিনি জানিয়েছেন, অর্শদীপ সিং-পাঁচটি নো বল করায় তিনি রীতিমতো স্তম্ভিত। তিনি মনে করেন দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফেরায় ছন্দ ফিরে পেতে সমস্যা হয়েছে অর্শদীপে।
দলের লিডিং বোলার হলেও অর্শদীপ সিং-কে দুই ওভারের বেশি করানোর সাহস দেখাননি ভারতীয় দলের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দুই ওভার মিলিয়ে ৫টি নো বল করেন অর্শদীপ এবং খরচ করেন ৩৭ রান।
উল্লেখ্য, শুধু একা অর্শদীপ নন, দ্রুতগতির পেসার উমরান মালিক এবং শিবম মাভিও একটি করে নো বল করেছেন এই ম্যাচে। এর ফলে গোটা ম্যাচে ৭টি নো বল করে ভারত অর্থাৎ এক ওভার এক বল বেশি বল করে ভারত এবং তার সঙ্গে অ্যাডেড অ্যাডভান্টেজ হিসেবে শ্রীলঙ্কা পায় ৭টি ফ্রি হিট।
বাংলাদেশ সফরে খেলেননি অর্শদীপ সিং। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শেষ বার ভারতের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে নিউজিল্যান্ড সফরে। সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসকে গৌতম গম্ভীর বলেন, "৭টা নো বল করা মানে একটা অতিরিক্ত ওভার বোলিং করা, ২১ ওভার। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটা শুধু খারপ বলের বিষয় নয়, প্রত্যেকে খারাপ বল করেছে এবং প্রত্যেকে খারাপ শট খেলেছে। পুরোটাই ছন্দের বিষয়। আপনি যদি দীর্ঘ চোটের পর প্রত্যাবর্তন ঘটান তা হলে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা উচিৎ নয়। আপনার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিৎ এবং নিজের ছন্দ খুঁজে পাওয়া উচিৎ। এখানেই সমস্যা। যারা চোট কাটিয়ে ফিরছে দীর্ঘ সময় পর তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিৎ এবং ছন্দ ফিরে পাওয়া দরকার এবং তার পর ফিরে আসুক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কারণ নো বল কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। অর্শদীপ যখন ছন্দ খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়ছিল সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।"
গৌতম গম্ভীরের আরও সংযোজন, "এটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এমনটা নিশ্চয়ই নেটেও করেছে, সেই কারণে ম্যাচেও করছে। বোলিং কোচের এটার উপর কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। প্র্যাকটিস সেশনের কঠোর হতে হবে। কোনও কিছুকে এর জন্য দায়ী করতে পারো না। ৭টা নো বল এবং ৩০ রান হজম করা অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।" রাজকোটে সিরিজের শেষ তথা ভাগ্য নির্ধারণকারী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত।