কেউ ডাক্তার তো কেউ ইঞ্জিনিয়ার! এই ক্রিকেটারদের ঘরনীরা শিক্ষাগত যোগ্যতায় অনেককেই ছাপিয়ে গিয়েছেন
কেউ ডাক্তার তো কেউ ইঞ্জিনিয়ার! এই ক্রিকেটারদের ঘরনীরা শিক্ষাগত যোগ্যতায় অনেককেই ছাপিয়ে গিয়েছেন
কথায় বলে, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর কৃপা একসঙ্গে কোনও মহিলার মধ্যে থাকলে তিনি সৌভাগ্যবতী। 'বিউটি উইথ ব্রেন' এর ভাবনা এই জায়গা থেকেই। আর যে মহিলার মধ্যে মেধা ও রূপ দুইয়ের মিশেল রয়েছে, সেই মহিলা যে সহজেই কাউকে আকর্ষণ করতে পারবেন নিজের দিকে তাবলাই বাহুল্য । ভারতের বহু তারকা ক্রিকেটারদের স্ত্রীরাই রূপের সঙ্গে শিক্ষাতেও অন্যদের টেক্কা দিতে পারেন আনায়াসে! এই তালিকায় বিরাট ঘরনী অনুষ্কা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন রোহত শর্মার স্ত্রী রীতিকা। দেখে নেওয়া যাক ভারতের স্টার ব্য়াটসম্যানদের স্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা।
অঞ্জলি তেন্ডুলকার
অঞ্জলি তেন্ডুলকারের শিক্ষাগত যোগ্যতা কার্যত বাকি ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। পেশায় চিকিৎসক অঞ্জলি বিশ্ব ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিনকে বিয়ের পর থেকে নিজের কেরিয়ার ছেড়ে দেন। নিজের পেশাগত যাবতীয় সুযোগ ছেড়ে কার্যত সচিনের পাশে তিনি একজন বড় মেরুদণ্ড হিসাবে রয়েছেন। তেন্ডুলকার পরিবারকে তিনি নিজের মতো করে গুছিয়ে কার্যত পারিবারিক চিন্তা থেকে দূরে রেখে সচিনকে সাফল্যের রাস্তায় বহু সময়ই সাহায্য করেছেন।
বিজেতা দ্রাবিড়
রাহুল দ্রাবিড়ের স্ত্রী বিজেতাও শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে অনেককে পিছনে ফেলে দিতে পারেন। ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসারের পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজেতা পেশায় মেডিক্যাল সার্জেন। এদিকে, রাহুল দ্রাবিড়ের পরিবারও অধ্যাপক পরিবার। ফলে ঘরের নববধূ যে শিক্ষিতা হবেন তা বলাই বাহুল্য। নাগপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর পোস্ট সার্জারি গ্যাজুয়েশন বিজেতা সম্পন্ন করেন ২০০২ সালে।
সাক্ষী ধোনি
মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি অউরাঙ্গাবাদের একটি কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। এরপর পাঁচতারা হোটেলের ম্যানেজমেন্ট সেকশনে যোগ দেন সাক্ষী। সেখানেই মাহির সঙ্গে সাক্ষীর আলাপ হয়েছিল বলে জানা যায়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাক্ষী আর মাাহির প্রেম জীবনকে। পরবর্তীকালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আগে রাওয়াত পদবীর অধিকারী ছিলেন সাক্ষী। উত্তরাখন্ডের মেয়ে সাক্ষী দেরাদুনের ওয়েলহাম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পরে মহারাষ্ট্রে গিয়ে তিনি হোটেল ম্য়ানেজমেন্টের কোর্স করেন তিনি। এরপরই কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে তিনি যোগ দেন।
সঞ্জনা বুমরাহ
ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ মার্চ মাসের ২০২১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সঞ্জনার সঙ্গে। মূলত বিয়ের আগে সঞ্জনা ছিলেন একজন সঞ্চালক। তারও বহু আগে এমটিভি স্প্লিটস ভিলাতে তিনি যোগ দেন। তবে সেখানে একটি আঘাতের কারণে সঞ্জনা সেই শো থকে বেরিয়ে যান। পরে তিনি বহু ক্রিকেট শোতে সঞ্চালনা করেন। তবে মডেলিংয়ের দিকে কেরিয়ার শুরু করার আগে সঞ্জনা ছিলেন একজন বিটেক ইঞ্জিনিয়ার।
রীতিকা শর্মা
টিম ইন্ডিয়ার হিটম্যান রোহিত শর্মার স্ত্রী রীতিকা শর্মা বিয়ের আগে রোহিতের স্পোর্টস ম্যানেজার ছিলেন। রোহিত ছাড়াও একাধিক নামী ভারতীয় ক্রিকেটারদের ম্য়ানেজার হিসাবে ছিলেন রীতিকা। তিনি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে তারপর ম্যানেজার হিসাবে পেশা জগত শুরু করেন। তিনি কর্নার স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেনমন্ট নামের সংস্থার হয়ে কর্মরত ছিলেন বহু বছর ধরে। তাঁর তুতো দাদা বান্টি সচদেব এই সংস্থার মালিক। সেখানেই কর্মরত ছিলেন রীতিকা। বেড়ানো পছন্দ করা রীতিকাকে একনজরে দেখেই নাকি রোহিত প্রেমে পড়ে যান বলে শোনা যায়।
অনুষ্কা
বিরাট কোহলির স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা কে কে না চেনেন! তবে অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি যে শিক্ষাগত যোগ্যতাতেও কারোর থেকে পিছিয়ে নেই তা বলাই বাহুল্য। অনুষ্কা বলিউডের স্টার অভিনেত্রী। অন্যদিকে বলা যায় তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ফার্স্ট লেডি। এদিকে, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও বেশ এগিয়ে তিনি। অনুষ্কা শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে অর্থনীতিতে মার্স্টার্স করেছেন। ফলে স্নাতোকোত্তর পাশ অনুষ্কা মূলত বিউটি উইথ ব্রেনের অক প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় জন্মানো অনুষ্কা ছোট থেকেই সেভাবে বড়সড় মেট্রো শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাননি নিজের গুণকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। উত্তরাখণ্জের দেহরাদুনে অনুষ্কাদের আদিবাড়ি। সেনা পরিবারে বেড়ে ওঠাা অনুষ্কার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে বেঙ্গালুরুতে। তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনা অসমের মারগেরিটা স্কুলে হলেও পরবর্তীকালে তিনি বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করেন। জানা যায়, সাক্ষী ধোনি ও অনুষ্কা একই স্কুলের ক্লাসমেটও ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি বেঙ্গালুরুর মাউন্ট কার্মেল কলেজে পড়াশোনা করেন।