এই কাজটি করতে পারলে নাকি রবিবার সেমিফাইনালে চলে যেতে পারে বিরাট কোহলির দল
ডু অর ডাই ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। পারবে কী ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছতে। আসবে কী দলে পরিবর্তন। কেমন রয়েছ লন্ডনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
নামে লিগের ম্যাচ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তবেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার তারকাহীন দলের কাছে যেভাবে বিরাট কোহলির দল হেরেছে তারপর কিন্তু ক্যাপ্টেন কোহলিকে নিজের ভাবনায় টুইস্ট করতেই হচ্ছে। পাকিস্তান ম্যাচে জেতায় যেসব প্রশ্ন ওঠেনি , শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হেরে সে প্রশ্নগুলো কিন্তু আর এত সহজে এড়িয়ে যেতে পারবেন না কোহলি।
ফলে রবিবাসরীয় লন্ডনে দলে পরিবর্তন আসতেই পারে। অশ্বিনের দলে ফেরার সম্ভবনা সেক্ষেত্র উজ্জ্বল। শ্রীলঙ্কার দলে তিনজন বাঁহাতি ক্রিকেটার ছিলেন সেক্ষেত্র অশ্বিন থাকলে হয়ত প্রতিপক্ষকে কিছুটা আঘাত করা যেত। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও সেই একই রকম পরিস্থিতি। প্রোটিয়া দলেও থাকবেন তিনজন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। কুইন্টন ডি কক, জেপি ডুমিনি,ডেভিড মিলারএই তিন বাঁহাতির মোক্ষম দাওয়াই হতে পারেন।
অন্যদিকে বিরাটের আইপিএল টিমের সতীর্থ এ বি ডিভিলিয়ার্সকে আটকানোর প্ল্যানিং কষতে ব্যস্ত থিঙ্কট্যাঙ্ক। এবি বেবি অবশ্য এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কিন্তু ম্যাচটা যেমন ভারতের জন্য ডু অর ডাই ঠিক তেমনিই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও ডু অর ডাই। তাই যদি মোক্ষম ম্যাচে তিনি জ্বলে ওঠেন তাহলে টিম ইন্ডিয়ার যারপরনাই বিপদ।
এদিনের ম্যাচে অধিনয়াক কোহলি দুটি স্পিনারের ছকে হাঁটতে পারেন।রবীন্দ্র জাদেজা-র বোলিংয়ের পাশাপাশি তাঁর দুরন্ত ফিল্ডিংয়ের জন্যও দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে হয়ত উমেশ যাদব কিম্বা ভুবনেশ্বর কুমারকে বাদ দিয়ে অশ্বিনকে দলে ঢোকাতে পারেন ক্যাপ্টেন কোহলি।
দুটি ম্যাচে ভারত যথাক্রমে ৩১৯ ও ৩২৩ রান করেছে। রানের মধ্যে রয়েছেন সব টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তবে যে ধরণের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হয়েছে তাতে কোনও স্কোরই সুরক্ষিত নয়। ফলে ম্যাচ জেতার জন্য কত রান সেফ হবে তা জানেন না কেউই, এমনটা মেনে নিয়েছেন খোদ কোহলিও।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে দলের মধ্যে মতান্তরের খেসারত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে দিতে হয়েছ। যেমন ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায়। কোহলি-কুম্বলের মতানৈক্য মেটাতে বোর্ডকর্তা থেকে সমর্থক সকলেই কোহলিকে বার্তা দিচ্ছেন। ওয়ান ডে ক্রিকেটের এক নম্বর দল খেতাব রক্ষার লড়াইতে নেমে যেন সেমিফাইনালের টিকিট পায় সেটা দেখার দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়কের ওপরই।
বৃষ্টির পূর্বাভাস অবশ্য নেই রবিবার। ফলে টিম ইন্ডিয়ার এখন শুধু একটাই ফোকাস পারফর্ম এবং শেষ চারের টিকিট পাও।