'জেরার নামে জঙ্গিদের মতো আচরণ করা হত', চাঞ্চল্যকর দাবি শ্রীসন্থের
'জেরার নামে জঙ্গিদের মতো আচরণ করা হত', চাঞ্চল্যকর দাবি শ্রীসন্থের
২০১৩ আইপিএলের স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর তাঁকে জেরার নামে কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, এতদিন পর তা খোলসা করেছেন ভারতীয় ফাস্ট বোলার এস শ্রীসন্থ। তা জানার পরেই দেশে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য আর কয়েক মাস পরেই নির্বাসন থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন শ্রীসন্থ। এরপর তিনি ফের ক্রিকেটে ফিরবেন।
শ্রীসন্থের অভিযোগ
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে শ্রীসন্থের অভিযোগ, স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তের নামে তাঁকে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। আইপিএলের একটি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাঁকে পার্টি থেকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে জঙ্গির মতো আচরণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ভারতীয় ফাস্ট বোলারের। বলেছেন, টানা ১২ দিন ধরে রোজ ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা লাগাতার তাঁকে জেরা করতেন তদন্তকারীরা। সেসব দিন স্মরণ করে শিউরে উঠছেন শ্রীসন্থ।
২০১৩ স্পট ফিক্সিং
২০১৩ সালের আইপিএলের স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য এস শ্রীসন্থের। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শ্রীসন্থকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। ২০১৫ সালে স্পট ফিক্সিং মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও ভারতীয় ফাস্ট বোলারের ওপর বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কেরল হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেছিলেন শ্রীসন্থ। আদালতের নির্দেশে বিশ্বজয়ী ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে সাত বছর করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
কবে মুক্ত হচ্ছেন শ্রীসন্থ
আদালতের নির্দেশে শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে সাত বছর করেছে বিসিসিআই। সেই হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বরে দেশের বিশ্বজয়ী ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উঠছে। এর অর্থ, এবার চাইলে ফের ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন শ্রী। তাই আগেভাগে রঞ্জি ট্রফি খেলতে চেয়ে কেরল ক্রিকেট সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন এই ভারতীয় ফাস্ট বোলার।
রঞ্জি খেলবেন শ্রীসন্থ
ফের বাইশ গজে ফিরতে চেয়ে কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি লিখেছিলেন শ্রীসন্থ। সে তরফ থেকে ইতিবাচক জবাবও পেয়েছেন এস শ্রীসন্থ। বলা হয়েছে, ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই তাঁকে কেরলের রঞ্জি দলে সুযোগ দেওয়া হবে। তা জানার পরেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের ফাস্ট বোলার।
প্রমাণের অভাবে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল বিতর্কের তদন্ত বন্ধ করল শ্রীলঙ্কা