ইংল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ড: টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চমবারের জন্য অঘটন ঘটাতে পারবে কি ইংরেজরা ?
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে একশো রানের মধ্যে গুটিয়ে গিয়ে ইংল্যান্ডের ম্যাচ জেতার নজির রয়েছে চারবার। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে থ্রিলার ম্যাচে সেই নজিরেই আরেকটি পালক জুড়তে পারবে কি ইংরেজরা?
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে একশো রানের মধ্যে গুটিয়ে গিয়ে ইংল্যান্ডের ম্যাচ জেতার নজির রয়েছে চারবার। সেই নজিরেই আরেকটি পালক জুড়তে পারবে কি ইংরেজরা?
অ্যাশেজের আগে, বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চ লর্ডসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছিল ৮৫ রানে। জবাবে আইরিশদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২০৭ রানে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে এরপর ৯ উইকেট হারিয়ে রুটের ইংল্যান্ড ৩০৩ রান তুলেছে।আয়ারল্যান্ডের থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড এগিয়ে ১৮১ রানে। তৃতীয় দিন শেষ উইকেটের সম্বল নিয়ে ম্যাচ জেতার জন্য ইংল্যান্ড আইরিশদের কত রানের টার্গেট দেয় সেটাই এখন দেখার।
সেক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে একশো রানের গণ্ডির মধ্যে গুটিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিততে পারলে সেটি টেস্ট ক্রিকেটে ইংরেজদের পঞ্চম নজির হবে।
এর আগে চারবার এমন ঘটনা ঘটেছে।
১) সিডনি টেস্ট(১৮৮৬-৮৭) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট ৪৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ১৮৪ রান। সেখানে অজিদের দুই ইনিংসে স্কোর ছিল ১১৯ ও ৯৭। ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতেছিল ১৩ রানে।
২) মেলবোর্ন টেস্ট(১৮৯৪-৯৫) দুই ইনিংসে ইংল্যান্ড, ৭৫ ও ৪৭৫, অস্ট্রেলিয়া সেখানে ১২৩ ও ৩৩৩রান তুলেছিল। ইংল্যান্ড মেলবোর্ন টেস্ট জিতেছিল ৯৪ রানে।
৩)কেপটাউন টেস্ট(১৮৯৮-৯৯) ইংল্যান্ডের স্কের ৯২ ও ৩৩০। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৭ ও ৩৫। ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতেছিল ২১০ রানে।
৪) লিডস টেস্ট(১৯০৭) ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসে স্কোর ৭৬ ও ১৬২ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ইনিংসে ১১০ ও ৭৫ রান তোলে। ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতেছিল ৫৩ রানে।