
মমতা চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি করতে, ফারুক আবদুল্লার নাম ইডি চার্জশিটে! ক্রিকেট সংস্থার দুর্নীতিতে আদালতে হাজিরা
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লাকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। বিরোধীদের ডাকা বৈঠক থেকেই সেই নামটি উঠে আসে। যদিও দাঁড়াতে চাননি ফারুক আবদুল্লা। এবার তাঁর অস্বস্তি বাড়াল ইডি-র চার্জশিট। ফারুক আবদল্লা-সহ কয়েকজনের নাম ঠাঁই পেল জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নামা ইডি-র চার্জশিটে।

ইডির চার্জশিটে ফারুক
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার নাম ইডি চার্জশিটে রেখেছে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং আইন মোতাবেক। জেকেসিএ-তে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা চলছে শ্রীনগরের আদালতে। এই মামলায় ওই আদালত আবদুল্লাকে অগাস্ট মাসেই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। আবদুল্লার সঙ্গেই আহসান আহমেদ মির্জা-সহ চারকজনকে হাজিরা দিতে হবে। ফারুক আবদুল্লা যখন জেকেসিএ প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেই ২০০১ থেকে ২০১২ সাল অবধি জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেট সংস্থায় আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি।

আর্থিক দুর্নীতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী!
চলতি বছর জুনের চার তারিখ শ্রীনগরের বিশেষ পিএমএলএ আদালতে ইডি যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছিল তাতে ফারুক আবদুল্লা, আহসান আহমেদ মির্জা, মীর মঞ্জুর গাজনফারের নাম রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের ২৭ অগাস্ট হাজির হতে হবে বিশেষ পিএমএলএ আদালতে। এই চার্জশিট পেশের আগে ইডি ফারুক আবদুল্লা-সহ অভিযুক্তদের ২১.৫৫ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল।

জেকেসিএ-র অর্থ ঘুরপথে অন্যের অ্যাকাউন্টে
ইডি-র দাবি, জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ফান্ডের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ক্রিকেট সংস্থার পদাধিকারীদের পাশাপাশি অন্যান্যদের অ্যাকাউন্টেও অর্থ সরানোর মতো অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও গরমিলের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জেকেসিএ-র তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ আহসান আহমেদ মির্জাকে গ্রেফতারও করে সিবিআই।

অস্বস্তিতে আবদুল্লা
জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অবৈধ কাজকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগের তদন্তে নেমে সিবিআই চার্জশিট জমা করেছিল ২০১৮ সালের ১১ জুলাই। এরপরই জেকেসিএ-তে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ৪৩.৬৯ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত অভিযুক্তরা। কিন্তু তদন্ত শুরুর পর দেখা যায় সেই পরিমাণ ৫১.৯০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ২১.৫৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। এবার আদালতের শুনানি প্রক্রিয়া কোন দিকে এগোয়, তা কতটা অস্বস্তি বাড়ায় ফারুক আবদুল্লার সেদিকেই সকলের নজর।