অভিমন্যুর অধিনায়কোচিত শতরান, হাতছাড়া অনুষ্টুপের, মনোজ-সায়ন জুটিতে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে বাংলার তিনশো পার
রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম দুটি ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে আত্নবিশ্বাসের তুঙ্গে বাংলা। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় ম্যাচেও বাংলা চালকের আসনেই। অভিমন্যু ঈশ্বরন অধিনায়কোচিত শতরান হাঁকিয়েছেন। ৫ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছে অনুষ্টুপ মজুমদারের। এরপর ব্যাটিং ধস সামাল দিয়েছে মনোজ তিওয়ারি ও সায়নশেখর মণ্ডলের অবিচ্ছেদ্য জুটি।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান চণ্ডীগড়ের অধিনায়ক মনন ভোরা। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই দলের শূন্য রানের মাথায় আউট হন ওপেনার সুদীপ ঘরামি। ১৬ ওভারের শেষ বলে বাংলা হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ৪৪ বলে ১২ রান করে আউট হন ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী। বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৪২। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ও প্রাক্তন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। ১২টি চারের সাহায্যে ১৭২ বলে ১১৪ রান করে আউট হন ঈশ্বরন। এর ঠিক পাঁচ ওভার পর অনুষ্টুপও ফেরেন। ফলে ৬২.৫ ওভারে বাংলার স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৪৬। ১৪৯ বল খেলে ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৫ রান করে গৌরব গম্ভীরের বলে লেগ বিফোর হন অনুষ্টুপ।
২৪৯ রানে পঞ্চম ও ২৬৮ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলা। অভিষেক পোড়েল ৮ বলে শূন্য এবং শাহবাজ আহমেদ ১৮ বলে ৬ রান করেন। সেখান থেকে দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলা পৌঁছায় ৮৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২৯ রানে। মনোজ তিওয়ারি ২টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৮০ বলে ৪২ ও সায়নশেখর মণ্ডল ৪৩ বলে ৩৩ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। অভিমন্যু ঈশ্বরন বলেন, প্রথম দিনে ৩০০-র উপর রান তুলতে পেরে ভালো লাগছে। এটা নিঃসন্দেহে অ্যাডভান্টেজ। আশা করি, ম্যাচের উপর আমরা আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব। ব্যাটিং সন্তোষজনক। দ্রুত কয়েকটি উইকেট না হারালে পরিস্থিতি আরও ভালো হতো। অনুষ্টুপ যেভাবে খেলেছেন সেটা আমাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, ভালো পার্টনারশিপও হয়েছে। মনোজ ও সায়নের গুরুত্বপূর্ণ জুটি আমাদের প্রত্যাশার কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে দলকে।
নিজের শতরান নিয়ে ঈশ্বরন বলেন, আমি নিজের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট নই। আরও বেশি রান করে দলকে আরও বেশি রান তুলতে সহায়তা করার সুযোগ ছিল। সেটা পারিনি। তবু স্কোরবোর্ডে ভালো পরিমাণ রান থাকবে বলে আশা রাখি। প্রথম দেড় ঘণ্টায় পেসাররা ভালো সাহায্য আদায় করে নিয়েছেন উইকেট থেকে। স্পিনারদের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না বাইশ গজে। চণ্ডীগড়ের জগজিৎ সিং সান্ধু ৫৩ রানে তিনটি এবং গৌরব গম্ভীর ৬৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। একটি উইকেট গিয়েছে জসকরণদীপ সিংয়ের ঝুলিতে।
(ছবি- সিএবি)