হেলিকপ্টার শটের মালিক ধোনি কী করলেন জানলে চমকে যাবেন
রবিবার অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ১৮৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত যেভাবে হারল এবং ১১৪ বল খেলে মহেন্দ্র সিং ধোনি যেভাবে অর্ধশতরান করলেন তাতে সমালোচনার ঝড় ওঠা স্বাভাবিক।
একসময়ে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের জন্য যে মহেন্দ্র সিং ধোনির পরিচিতি ছিল, তিনি বর্তমানে স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য বারবার সমালোচনার পাত্র হচ্ছেন। বেশ কয়েকবছর হল ধোনি ধামাকার তেজ কমে এসেছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাভাবিকও। রিফ্লেক্স কমে আসায় মারকাটারি ব্যাটিং করতে আর খুব বেশি দেখা যায় না ধোনিকে।
তবে রবিবার অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ১৮৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত যেভাবে হারল এবং ১১৪ বল খেলে মহেন্দ্র সিং ধোনি যেভাবে অর্ধশতরান করলেন তাতে সমালোচনার ঝড় ওঠা স্বাভাবিক।
দুশোর নিচে রান তাড়া করতে নেমে অজিঙ্ক রাহানে ছাড়া কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। রাহানে ধীর গতিতে হলেও দারুণ অর্ধশতরান করে ফেরেন। এরপরে মিডল অর্ডারে সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে ধোনির কাঁধে। রান কম হওয়ায় ধোনি নিজস্ব স্টাইলে খেলা ধরতে গিয়ে স্লো ব্যাটিং শুরু করেন।
তবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। নিজের কেরিয়ারের ৬৪তম অর্ধশতরান সবচেয়ে খারাপভাবে করলেন এদিন। ১০৮ বলে এদিন অর্ধশতরান করেন ধোনি। এবং ১০৩ বলের মাথায় নিজের ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১১৪ বলে ৫৪ রান করেন। যার ফলে শেষ দুই ওভারে মাত্র ১৬ রান বাকী থাকলেও তা করতে পারেনি ভারত। ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বিরাট কোহলির দল।
শেষ পাঁচ ওভারে ৩১ রান বাকী ছিল। সেইসময়ে ধোনি ও হার্দিক পাণ্ড্য ক্রিজে ছিলেন। তবে হার্দিকের পর রবীন্দ্র জাদেজাও আউট হলে ভারতের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। অপরপ্রান্তে ধোনি থাকলেও যে গতিতে তিনি এদিন রান করছিলেন তাতে কেউই ম্যাচ জেতানোর কথা ভাবেননি।
এর আগেও ধোনি স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৫ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।