উত্তরাখণ্ড ক্রিকেটে জোর বিতর্ক, সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ওড়ালেন জাফর, পাশে গণেশ
উত্তরাখণ্ড ক্রিকেটে জোর বিতর্ক, সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ওড়ালেন জাফর, পাশে গণেশ
উত্তরাখণ্ড ক্রিকেটে জোরালো বিতর্ক। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের ক্রিকেটেও এবার সাম্প্রদায়িকতার বিতর্ক। চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর। তিনি দল পরিচালনাতেও ধর্মভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে মারাত্মক অভিযোগ উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও দলের ম্যানেজারের। যদিও গতকাল তা সাংবাদিক সম্মেলন করে খারিজ করে দেন জাফর। তাঁর পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশ।
জাফর উত্তরাখণ্ড দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, দল পরিচালনায় সচিব ও নির্বাচকদের অবাঞ্ছিত নাক গলানো এবং পক্ষপাতিত্ব মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তিনি কোচের পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। যদিও এরপরই বিতর্ক শুরু হয় সেই রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার পাল্টা দাবিতে। সংস্থার সচিব মহিম ভার্মা ও দলের ম্যানেজার নবনীত মিশ্র বলেন, দল চালাতে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না জাফর। এমনকী দলের ক্যাম্পে বায়ো বাবলের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি মৌলবীদের দলের শিবিরে ডেকে আনেন।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ খারিজ করে জাফর বলেন, আমি ধর্মনিরপেক্ষ না হলে তো তাঁরা আমাকে বরখাস্ত করতেন। আমি নিজেই তো দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এতদিন ভারতীয় দলে সচিন, দাদা (সৌরভ)-দের সঙ্গে খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে এত বছর খেলেছি। সকলেই আমাকে চেনেন। কখনও আমার বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ ওঠেনি। সাম্প্রদায়িক তকমা লাগানো হয়েছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। জাফর আরও বলেন, আমি ব্যাটিং অর্ডার কী হওয়া উচিত, কাকে খেলানো উচিত সে ব্যাপারে কারও সুপারিশ মানিনি। যেটা দলের পক্ষে ভালো সেটাই করেছি। আমি সাম্প্রদায়িক হলে সৈয়দ মুস্তাক আলিতে সামাদ ফাল্লাহ্, মহম্মদ নাজিমদের প্রথম একাদশে রাখতাম তা করিনি। জয় বিস্তাকেও দলের সঙ্গে রাখতাম না। জয়কেই আমি অধিনায়ক করতে চেয়েছিলাম। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হওয়ায় এবং আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় ইকবাল আবদুল্লাকে অধিনায়ক করেন নির্বাচকরা। আর শুক্রবার জুম্মা নামাজের জন্য মৌলবী, মৌলানাদের আমি ডেকে আনিনি। তাঁদের মধ্যে কেউ সম্ভবত দেরাদুনে ইকবালেরই পরিচিত ছিলেন। বরং আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেখেছি দলের অনেকেই শিখ সম্প্রদায়ের মন্ত্রোচ্চারণ করতেন। আমি পরামর্শ দিই 'গো উত্তরাখণ্ড' বলার জন্য। তবে নির্বাচক বা সচিবরাই কখনও কখনও নিরপেক্ষতা দেখাননি, তবে তাঁদের সুপারিশে অযোগ্য কাউকে দলে না নেওয়ার বিষয়ে আমি কঠোর ছিলাম।
দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জাফরের পাশে দাঁড়িয়েছেন ডোড্ডা গণেশ। ভারতের এই প্রাক্তন পেসার টুইটারে লিখেছেন,"প্রিয় জাফর, তুমি ক্রিকেটের একজন বড় অ্যাম্বাসাডর। দেশের হয়ে খেলে গর্বিত করেছো। তোমার সঙ্গে এমনটা হতে পারে তা ভাবনাতেই আসে না। তুমি একজন দারুণ ক্রিকেটার, ভালো মানুষ, ভাই। তোমাকে, তোমার সততা, ন্যায়পরায়ণতা ক্রিকেট বিশ্ব জানে।"
একুশের ভোটে তৃণমূল কয়টি আসন দখলে রাখবে! হিসাব দিয়ে দিলেন মদন মিত্র