India vs England: ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিলে রোষে আইপিএল! ভারতের করোনাতঙ্ক ফাঁস কার্তিকের
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিল। দলে করোনা সংক্রমণের কারণে ভারত দল নামাতে না পারায়। এই সিরিজের ফল কী হবে তা আইসিসি-র কোর্টে। আগামী বছর ভারত-ইংল্যান্ড একটি টেস্ট আয়োজনের উদ্যোগ। এরই মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিলে রোষের মুখে পড়েছে আইপিএল। প্রাক্তনরা দুষছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে। ইসিবি আবার বিসিসিআইয়ের পাশে থেকে বিবৃতি দিচ্ছে। এই গোটা আবহে ভারতীয় দলে করোনা-ভীতি কীভাবে জাঁকিয়ে বসেছে তা নিয়ে মুখ খুললেন দীনেশ কার্তিক।
|
ভারতীয় শিবিরের ছবি
আইপিএল খেলতে এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে দীনেশ কার্তিক। আজ সকালে তাঁর টুইটেই জানা যায় টেস্ট আজ হবে না। পরে তা বাতিলও হয়ে গিয়েছে। দীনেশ কার্তিক আইপিএল খেলতে যাওয়ার আগে অবধি স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দিয়েছেন। তিনি এদিন বলেন, ভারতীয় দলে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। চতুর্থ টেস্টের পর ভারতীয় ক্রিকেটাররা ক্লান্তই ছিলেন। সমস্যা বাড়ে শুধু একজন ফিজিওই অবশিষ্ট থাকায়। ফলে তাঁর তত্ত্বাবধানেই ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের জন্য নিজেদের ফিট রাখছিলেন ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে সেই সহকারী ফিজিও যোগেশ পারমার করোনা পারমার করোনা পজিটিভ হতেই ভারতীয় শিবিরে করোনা-ভীতি গ্রাস করে। এমনিতেই হেড কোচ, বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচের করোনা পজিটিভ। মূল ফিজিও সেই কারণে আইসোলেশনে। সহকারী ফিজিও করোনা আক্রান্ত খবর আসতেই যে ভীতি স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে, অন্য কেউ হলে ততটা হত না। এমনিতেই কড়া জৈব সুরক্ষা বলয় ছিল না। টেস্টের সময় ক্রিকেটারদের শুধু বলা হয়েছিল হোটেলের রুমেই থাকতে। এমনকী যেহেতু অনেকে আইপিএলের বায়ো বাবলে প্রবেশ করবেন তাই তাঁদের সংক্রমণ এড়াতে হোটেলের ঘরে থেকে রুম সার্ভিসের সাহায্য নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দলেরই একজন করোনা আক্রান্ত হতে পরিস্থিতি অন্য আকার ধারণ করে। এরপর আইপিএল, তারপর টি ২০ বিশ্বকাপ খেলেই ভারতের নিউজিল্যান্ড সফর। এমনিতেই ১৬ মে থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সকলে টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ে কাটাচ্ছেন।
রাত জেগে ক্রিকেটাররা
দীনেশ কার্তিকের দাবি, টেস্ট যে আজ হবে না তা কয়েক ঘণ্টা আগেই বুঝতে পারি। বিসিসিআই যেহেতু ইসিবি-র সঙ্গে কথা চালাচ্ছিল ফলে কী হবে বুঝতে না পেরে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারই রাত আড়াইটে-তিনটে অবধি জেগে কাটিয়েছেন। ফলে আজ খেলা হওয়ার প্রশ্নই ছিল না। টেস্ট পিছিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু যদি এমন হত টেস্টের তৃতীয় দিনে কারও আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ এল তাহলে কী হতো! সেই ক্রিকেটার যদি প্রথম একাদশেও থাকতেন তাহলে বাকিদের আইসোলেশনে চলে যেতে হতো। যার প্রভাব পড়ত আইপিএলেও। তখন ওই ক্রিকেটারকে সুপার স্প্রেডার হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। তাঁর মনের উপরও চাপ তৈরি হতো। সর্বোপরি আরও ১০ দিন ইংল্যান্ড কাটালে আইপিএল প্রভাবিত হতো। কেন না, আজ কেউ নেগেটিভ নন বলে দুদিন পরেও তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই। ফলে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তার আরও বড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিল।
আইপিএল নিয়ে চিন্তা
আইপিএলের দলগুলি আবু ধাবি ও দুবাইয়ে নিভৃতবাসে কাটিয়ে অনুশীলন শুরু করেছে। ভারতীয় দলকে পঞ্চম টেস্টের জন্য বলা হয়েছিল টিম হোটেলে ঘরে থাকতে এবং মাঠেও খুব বেশি ঘোরাঘুরি না করতে। হোটেলে রুম সার্ভিস নিতেও বলা হয়। ইংল্যান্ড থেকেই চার্টার্ড বিমানে আইপিএলের জন্য ভারত ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সহকারী ফিজিও পারমারের করোনা আক্রান্ত হওয়া চিন্তায় রাখছে ভারতের ক্রিকেটারদের। যা অমূলক নয় বলেই দাবি করেছেন কার্তিক।
সাঁড়াশি চাপে ইসিবি
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক আথারটন-সহ বেশ কয়েকজন মন্তব্য করেছেন, আইপিএলের জন্য ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিল করা হল। আথারটনের এই মন্তব্য অস্বাভাবিক নয়। কেন না, শিবিরে করোনা থাবা বসালেও সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরে দেখা গিয়েছে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ এক বা দুদিন দেরিতে হয়েছে। তবে বাতিল হয়নি। কিন্তু ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিল হলে সমস্যা হত আইপিএল এবং টি ২০ বিশ্বকাপ নিয়ে। সিরিজের শেষ টেস্ট শেষ হওয়ার নির্ধারিত দিনের পাঁচ দিন পরেই আইপিএল শুরু হবে। একইভাবে অনেকেই আবার ইসিবিকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের কথা। অনেকটা একইরকম পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা খেলতে রাজি না হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথেই দেশে ফিরেছিল ইংল্যান্ড। কেভিন পিটারসেন, মাইকেল ভনরা তাই ইসিবিকে এই বার্তাই দিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডকে যেমন অস্বস্তিতে ফেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছিল ইসিবি, তেমনই ভারতও ইসিবির ক্ষেত্রে তাই করল। আথারটনের মতে, এখন ক্রিকেটারদের মতামতই অগ্রাধিকার পায়। তাছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও অস্বীকারের উপায় নেই। যদিও আইপিএলকে টেস্ট বাতিলের কারণ বলে মানতে নারাজ ইসিবি।
টেস্ট আয়োজনের উদ্যোগ
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ল্যাঙ্কাশায়ারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট বাতিলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। এটা কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব সে ব্যাপারে ইসিবির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ইসিবি-র সিইও টম হ্যারিসন বলেছেন, আইপিএলকে টেস্ট বাতিলের জন্য দায়ী করা ঠিক নয়। বিসিসিআইও চাইছিল টেস্ট ম্যাচটি হোক। আমি নিজেও রাতভর ফোনে ব্যস্ত থেকেছি টেস্ট আয়োজনের বিষয়ে আলোচনায়। কিন্তু শিবিরে যখন করোনা সংক্রমণ ছড়ায় তখন সেই ভীতি কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। সিরিজের ফলাফল কী হবে তা আইসিসির কোর্টে ছেড়ে দিয়ে ইসিবি সিইও বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের পরামর্শ মেনে একটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে সেটি কোনওভাবেই যে এই সিরিজের শেষ টেস্ট হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইসিবি সিইও।
The total lack of respect shown to the Cricketing fan that had travelled hundreds miles today to see the Test today is an utter disgrace .. Surely this could have been dealt with yesterday !!!! Even then I wouldn’t have agreed with it … #ENGvIND
— Michael Vaughan (@MichaelVaughan) September 10, 2021
The total lack of respect shown to the Cricketing fan that had travelled hundreds miles today to see the Test today is an utter disgrace .. Surely this could have been dealt with yesterday !!!! Even then I wouldn’t have agreed with it … #ENGvIND
— Michael Vaughan (@MichaelVaughan) September 10, 2021
England left the tour of SA for Covid scares & cost CSA plenty, so don’t go pointing fingers! 👀
— Kevin Pietersen🦏 (@KP24) September 10, 2021