আচরণ বিধি ভেঙে আইপিএলের বিধি ভঙ্গ কার্তিকের , দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের আগে তিরস্কৃত তারকা ক্রিকেটার
আইপিএলের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন দীনেশ কার্ত্তিক। তাই তাঁকে তিরস্কার করল আইপিএল কমিটি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে এই সিজনে খেলছেন দীনেশ কার্তিক। তাঁর দল পৌঁছে গিয়েছে দ্বিতীয় এলিমিনেটর খেলতে গুজরাতে। কিন্তু আইপিএল কমিটি বলছে যে ২৫শে মে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে তার দলের এলিমিনেটর ম্যাচের সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আচরণবিধি লঙ্ঘনের করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার। তাই তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছে৷
কার্তিক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোড অফ কন্ডাক্টের ধারা ২.৩ এর অধিনে লেভেল ১ অপরাধ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কার্ত্তিক তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আচরণবিধির লেভেল ১ লঙ্ঘনের জন্য, ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত এবং বাধ্যতামূলক। এবার ঘটনা হল কি যে তাঁর শাস্তি হবে তা বলা হয়নি। এটাও বলা হয়নি যে লেভেল ১ এ ঠিক কি ধরনের দোষকে ধরা হয় বা কী ধরনের আচরণ করলে তা আইপিএল-এ আচরণবিধির লেভেল ১ লঙ্ঘন হয়। কার্ত্তিক সেই কোড অফ কন্ডাক্টের কোন ধরনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার মতো কাজ করেছেন তাও বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে কার্ত্তিক কোনও একটি দোষ করেছেন আর তার জন্য তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এই সিজনে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন দীনেশ কার্ত্তিক। প্রায় বেশিরভাগ ম্যাচে দলের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করছেন কার্ত্তিক। প্রথমে ব্যাট করলে দলকে ভালো স্কোরে পৌঁছে দিচ্ছেন, আবার দল রান তাড়া করলে ম্যাচ শেষ করে আসছেন। এই যেমন গত ম্যাচে ২৩ বলে ৩৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। কার্ত্তিক ও পতিদারের সেঞ্চুরিতে ভর করে লখনউয়ের বিরুদ্ধে ২০৭ রান করে দেয় ব্যাঙ্গালোর। রান তাড়া করে জিততে পারেনি রাহুলের দল। আটকে যায় ১৩ রান আগেই।
এই নাগাড়ে পারফর্মেন্সের ফলও মিলেছে। কার্ত্তিক আবার ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনিই একমাত্র সিনিয়র মোস্ট ক্রিকেটার যাকে দলে নেওয়া হয়েছে। যে কার্ত্তিক এক সময় কমেন্ট্রি বক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই কার্ত্তিক আবার ফিরেছেন জাতীয় দলে। ভালো খেললে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতেও।
প্রসঙ্গত ২০০৬ সালে ভারত প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পেয়েছিলেন কার্ত্তিক। আজ সেই দলের ১৪ জন অবসর নিয়ে নিয়েছেন। একা কুম্ভ হয়ে লড়ে যাচ্ছেন দীনেশ। এভাবেও হয়তো ফিরে আসা যায়।