ফের হরভজনের নিশানায় মহেন্দ্র সিং ধোনি
গত মাসেই আ্ন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন হরভজন সিং। ২০২১-এর শেষ পর্বে অবসরের কথা জানালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই মহাতারকা'কে ২০১৫ থেকেই ব্রাত্য করে রেখেছিল বিসিসিআই-এর নির্বাচকরা এবং দলের কোচ-অধিনায়ক।
ভারতের জার্সিতে ১০৩টি টেস্টে ৪১৭ উইকেট নেওয়া হরভজন মনে করে, তিনি এবং তাঁর মতো একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার আরও কয়েকটা বছর ভারতীয় দলকে সার্ভিস দিতে পারতেন যদি ম্যানেজমেন্টের থেকে কিছুটা সাহায্য পেতেন, যেমনটা প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পেয়েছেন।
এক সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাজ্জি বলেছেন, "অন্যান্য ক্রিকেটারদের তুলনায় অনেক ভাল ব্যাকিং পেয়েছিল ধোনি। বাকি ক্রিকেটাররাও যদি একই রকম ব্যাকিং পেত তা হলে তারাও খেলতে পারত। বিষয়টা এমন নয় যে বাকি ক্রিকেটাররা হঠাৎ ব্যাট ঘোরাতে ভুলে গিয়েছিল বা কী ভাবে বোলিং করতে হয় তা জানত না।"
৪১ বছর বয়সী ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম প্রাক্তন তারকা এ-ও জানিয়েছে, যদি ম্যানেজমেন্ট তাঁকে পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে যাওয়ার রাস্তা না দেখাত এবং চার-পাঁচ বছর খেলার সুযোগ পেতেন তা হলে আরও ১০০ বা ১৫০ উইকেট পেতে পারতেন। হরভজনের কথায়, "আমি যখন ৪০০ উইকেট সংগ্রহ করি তখন আমার বয়স ৩১ বছর। আমি যদি আরও চার বা পাঁচ বছর খেলার সুযোগ পেতাম তা হলে আপনাকে বলতে পারি যে স্ট্যান্ডার্ড নিজের সেট করেছিলাম তাতে আরও ১০০ থেকে ১৫০ উইকেট পেতে পারতাম।"
২০১৫ সালের মার্চে গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন হরভজন সিং। ওই বছরই অক্টোবরে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষ ওডিআই ম্যাচ খেলেছিলেন ভাজ্জি, প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ২০১৬ সালের মার্চে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন এই অফ-স্পিনার।
টেস্টে ৪১৭ উইকেটর মালিক হরভজন, ওডিআই এবং টি-২০ ফরম্যাটের বল হাতে নিজের জাদু দেখিয়েছেন। ২৩৬টি ওডিআই ম্যাচে ২৬৯টি উইকেট রয়েছে হরভজনের। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ২৮ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২৫টি উইকেট।
বল হাতে তাঁর অবদান ভারতকে একের পর এক ঐতিহাসিক জয় এনে দিলেও ব্যাট হাতেও দু'টি শতরান রয়েছে পুরোদস্তুর এই বোলারের। টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ রান ১১৫।