অ্যাশেজ জিতেও তৃপ্ত নয় অস্ট্রেলিয়া! অবসরের আগে দুটি ইচ্ছাপূরণ লক্ষ্য ডেভিড ওয়ার্নারের
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক সেরে অ্যাশেজ দখলে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। তিনটি টেস্ট জিততে লেগেছে সাকুল্যে ১২ দিন। মেলবোর্ন টেস্ট জিততে পুরো তিনদিনও লাগেনি। অ্যাশেজে এখনও বাকি দুটি টেস্ট। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সংস্করণ দারুণভাবে শুরু করলেও তৃপ্ত নয় অস্ট্রেলিয়া। এমমকী অবসরের আগে দুই অধরা কীর্তির বাস্তবায়ন চাইছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
টি ২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন ৩৫ বছর পূর্ণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবার টি ২০ বিশ্বকাপ জেতানোর অন্যতম এই কারিগর টি ২০ বিশ্বকাপে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারটিও পেয়েছেন। তবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের আগে তিনি যে দুটি লক্ষ্যপূরণ করতে চান সেগুলি হলো ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জয় এবং ভারত সফরে এসে টেস্ট সিরিজ জেতা। উল্লেখ্য, ওয়ার্নার ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনটি টেস্ট সিরিজে ১৩টি টেস্ট খেলেছেন। ভারত সফরে দুবার এসে আটটি টেস্ট খেলেছেন। এই পাঁচটি সিরিজের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের গড় যথাক্রমে ২৬ ও ২৪। একটিও শতরান নেই।
পরবর্তী অ্যাশেজ সিরিজ হবে ২০২৩ সালে। তখন ডেভিড ওয়ার্নারের বয়স হবে ৩৭-এর কাছাকাছি। তবে বয়সকে পাত্তা দিতে নারাজ ওয়ার্নার। টি ২০ বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজের ফর্ম তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। এমনকী বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জেমস অ্যান্ডারসনকে আদর্শ হিসেবেও মানছেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, বয়স যে বাধা নয়, পারফরম্যান্সই মূল কথা, সেই মাপকাঠিটি চূড়ান্ত করার সবচেয়ে বড় নিদর্শন রেখেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। নিজের সেরাটা দিয়ে রান করাই আমার লক্ষ্য। অ্যাশেজের প্রথম দুটি টেস্টে নিজে প্রপার ব্যাটারের মতোই ব্যাট করেছেন বলে মত ওয়ার্নারের। নিজের কেরিয়ারের চেয়ে কিছুটা আলাদাও যেখানে অনেক বেশি সমীহ করেছেন বোলারদের, তাঁদের লাইন, লেংথকে। তবে একটা শতরান পেতে মুখিয়ে অজি ওপেনার।
এবারের অ্যাশেজে এখনও অবধি তিনটি টেস্টের মধ্যে দুটিতে নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্রিসবেন টেস্টে করেছিলেন ৯৪। অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯৫ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৩। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ৩৮ রান করেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার আরও বলেছেন, আমি ফর্মে ছিলাম না, তা নয়। রান পাচ্ছিলাম না। তবে ছন্দ ফিরে পেয়েছি, আশা করি নতুন বছরে আরও রান পাব। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে সিরিজ ড্র রেখেছিলাম। ভারতকে ভারতের মাটিতেও আমরা কখনও হারাইনি। ফলে সুযোগ পেলে ফের দুই দেশে গিয়ে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেতে চাই। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এলেও আত্মতুষ্টি নেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করতে পাখির চোখ করছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সফরকে। স্পিন চ্যালেঞ্জ সামলাতেও প্রস্তুত ওয়ার্নাররা।