জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ফের সরব স্যামি, এবার কাঠগড়ায় ভারতীয় ফর্সা হওয়ার ক্রিম
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ফের সরব স্যামি, এবার কাঠগড়ায় ভারতীয় ফর্সা হওয়ার ক্রিম
বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ফের তোপ দাগলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০১৬ সালে টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেওয়া অধিনায়ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনার পর তীব্র নিন্দা করে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এবার ভারতীয় এক ফর্সা হওয়ার ক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুললেন স্যামি।
ব্ল্যাক লাইভস ম্যারাটস
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে ব্ল্যাক লাইভস ম্যারাটস আন্দোলন শুরু হয়েছে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে ইতিমধ্যে খেলার জগৎ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা এই আন্দোলনে সামিল হয়ে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। ক্রিকেট মাঠে স্যামি, ব্র্যাভো, গেইলরাও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
স্যামির কাঠগড়ায় এবার ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি
ভারতীয় এক ইংলিশ পত্রিকার সাক্ষাৎকারে স্যামি এবার বলেছেন, 'ভারতে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি নামে একটি ক্রিম রয়েছে। এই ক্রিম তো চূড়়ান্ত বর্ণবিদ্বেষ ছড়়াচ্ছে। ক্রিমের নামেই তো বলা হচ্ছে ফর্সা মানুষরাই ভালো মানুষ! এভাবেই বর্ণবিদ্বেষের প্রচার বন্ধ করা উচিত।' প্রসঙ্গত ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ক্রিমটি ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্থান ইউনিলিভার ১৯৭৫ সালে বাজারে আনে।
বলিউডে ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া
প্রসঙ্গত বর্ণবিদ্বেষের শিকার হওয়া জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর বলিউড থেকে ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপনে তারকাদের যোগদান নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বলিউড অভিনেতা অভয় দেওল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বর্ণবিদ্বেষে বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এরপর ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপন বন্ধ করবেন কিনা, জানতে চেয়েছিলেন।
আইপিএলে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন, ক্ষোভ স্যামির
এর আগে ২০১৪ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন বলে স্যামি অভিযোগ করেন।পুরনো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করে নাম না করে ইশান্ত শর্মা তাঁকে কালু বলে ডাকতেন বলে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার অভিযোগ করেন।
আইপিএলে বিরাট বনাম গম্ভীরের যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন কেকেআর তারকা