আইপিএলে মাঠ ফাঁকা থাকলেও খেলুক বিদেশি ক্রিকেটাররা, বলল ফ্রাঞ্চাইজিগুলি
আইপিএলে মাঠ ফাঁকা থাকলেও খেলুক বিদেশি ক্রিকেটাররা, বলল ফ্রাঞ্চাইজিগুলি
করোনা ভাইরাসের প্রভাব বেড়েই চলেছে ভারতে। আতঙ্কিত হচ্ছেন মানুষ। সিঁটিয়ে রয়েছে সরকারও। এই পরিস্থিতিতে দেশে আইপিএল আয়োজন করা যে বেশ চ্যালেঞ্জের, তা বলাই যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে ফাঁকা স্টেডিয়ামে হতে পারে আইপিএলের ম্যাচ। এমনকী ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির জেরে কোনও বিদেশি ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে নাও খেলতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
করোনার জের
করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মূত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ। ভারতে মোট ৭২ জন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। দিল্লি, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি বলে জানানো হয়েছে।
আইপিএলের বিরুদ্ধে
করোনার লাগামছাড়া প্রভাবের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন করতে চায় না কর্নাটক সরকার। টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে তারা। আইপিএল বন্ধের আর্জি নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। মহারাষ্ট্রে আইপিএলের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে ফাঁকা স্টেডিয়ামেই টুর্নামেন্টের সব আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
বিদেশি ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতি
করোনা ভাইরাসের জেরে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন ভিসার আবেদন নিতে অস্বীকার করছে ভারত সরকার। ১৩ মার্চ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে আইপিএলে অংশ নিতে চলা বিদেশি ক্রিকেটারদের পক্ষে ভারতের আসা মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার অনেক পরে বিদেশি ক্রিকেটাররা নিজ নিজ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
খেলুক বিদেশিরা
ফাঁকা মাঠে হোক আইপিএলের ম্যাচ, তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলির। তবে বিদেশি ক্রিকেটাররা না খেললে আইপিএল জৌলুস হারাবে বলেও মনে করে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলা দলগুলি। তাছা়ড়া বিদেশি ক্রিকেটাররা না খেললে দলগুলির শক্তি হ্রাস হবে বলেও মনে করে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি। এ ব্যাপারে বিসিসিআই-কে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছে অংশ নিতে চলা দলগুলি।