যৌনাঙ্গ প্রদর্শনের কলঙ্ক মুছল ৩ লক্ষ ডলারের জয়ে! মাঠের বাইরেও ছক্কা ক্রিস গেইলের
এক অস্ট্রেলিয় মিডিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় ৩ লক্ষ অস্ট্রেলিয় ডলার জিতেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। এক মহিলা ম্যাসাজ থেরাপিস্টকে যৌনাঙ্গ দেখানোর অভিয়োগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকানোর জন্যই তিনি ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) মাঠের বাইরেরও বিশাল এক ছক্কা মারলেন ক্রিস গেইল। মানহানির মামলায় অস্ট্রেলিয় এক সংবাদ মাধ্য়মের বিরুদ্ধে ৩ লক্ষ্য অস্ট্রেলিয় ডলারের জয় পেলেন তিনি। এই জয়ের ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মহিলা ম্য়াসাজ-থেরাপিস্টকে যৌন হেনস্থা করার কলঙ্কও ঘুঁচল।
এই মামলার সূচনা হয়েছিল ২০১৬ সালে। 'সিডনি মর্নিং হেরাল্ড' ও 'দ্য এজ' পত্রিকার প্রকাশক সংস্থা ফেয়ার ফ্য়াক্স মিডিয়া, একের পর এক নিবন্ধে গেইলের বিরুদ্ধে এক অজি মহিলা ম্য়াসাজ-থেরাপিস্টকে যৌন হেনস্থা করার গুরুতর অভিযোগ এনেছিল। তারা অভিযোগ করে, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন সিডনিতে ড্রেসিংরুমের মধ্যে গেইল ওই মহিলাকে তাঁর পুরুষাঙ্গ দেখান ও তারপর তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন।
এই অভিযোগ পালে আরও বাতাস পেয়েছিল ঘটনার পরপরই গেইলের এক বিতর্কিত 'কীর্তি'তে। লাইভ টিভিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল এক অস্ট্রেলিয় মহিলা টিভি উপস্থাপকের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে। ওই মহিলাকে ক্যামেরার সামনেই গেইল 'ড্রিঙ্ক-ডেট'-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মহিলাকে 'বেবি' সম্বোধনও করেছিলেন।
কিন্তু ফেয়ারফ্যাক্সের যাবতীয় অভিযোগ গেইল বরাবরই দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ ছিল, যে সাংবাদিক ওই খবরকরেছএন, তাঁর উদ্দেশ্য গেইলকে 'ধ্বংস করা'। তাঁর সতীর্থ ডোয়েন স্মিথ ঘটনার সময়ে ড্রেসিংরুমে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এগিয়ে এসে জানান, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। এরপরই ওই ফেয়ারফ্যাক্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন 'ওয়েস্টইন্ডিজের দৈত্য'।
২০১৭ সালের অক্টোবরেই এই মামলায় জয়ী হয়েছিলেন গেইল। আদালত জানিয়েছিল, ফেয়ারফ্যাক্স অসত উদ্দেশ্যেই ওই অভিযোগ এনেছিল বলে তারা মনে করছে। অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ সংবাদমাধ্যমটি দাখিল করতে পারেনি।
সোমবার, এই মামলার নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানান নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি লুসি ম্যাকালাম। তিনি জানান, 'এই অভিযোগে মিস্টার গেইলের ভাবমূর্তির গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।' তিনি আরও জানান, এই অভিযোগে গেইলের 'অনুভূতি আহত হয়েছিল'। তার সপক্ষে গেইল যে প্রমাণ দিয়েছেন, তাই তাঁকে এই বিপুল ক্ষতিপূরণের সাজা ঘোষণায় 'বাধ্য করেছে'।