করোনার কবলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’র প্রধান নিক হকলি
ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং তাদের পরিবারের একাধিক সফররত সদস্যের পর এ বার অ্যাশেজের মাঝেই কোভিডে আক্রান্ত হলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াট'র প্রধান নিক হকলি। টিকার উভয় ডোজ নেওয়া হকলির মধ্যে কোভিডের কিছু কিছু লক্ষ্যণ প্রকাশ পেয়েছিল। অবিলম্বে তাঁর পিসিআর টেস্ট করান হয়। পিসিআর টেস্টের ফলাফল আসার পর এই মুহূর্তে নিভৃতবাসে রয়েছেন হকলি।
দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আশ্বস্থ করে হকলি বলেছেন, "এই মুহূর্তে আমি নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছি। পরিবার সদস্যদের সঙ্গেই রয়েছি। ওদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।" এই সফরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া'র বায়ো সিকিউরিটি রুলের মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড দলের কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়নি হকলি'র।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড-এর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় গাব্বায় শতরান করা হেড ছিটকে গিয়েছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৫ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে শুরু হতে চলা পিঙ্ক টেস্ট থেকে। হেডের পরিবর্তে জাতীয় দলে ফিরতে পারেন উসমান খোয়াজা। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিডসে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন উসমান। হেডের কাছাকাছি থাকার ফলে দলের সঙ্গে মেলবোর্ন থেকে সিডনি'তে চাটার্ড বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়নি মার্কাস হ্যারিস'কেও। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ দেখিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে প্রায় ৯০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে মিচেল মার্শ এবং জস ইংলিসের সঙ্গে সিডনি'তে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন হ্যারিস।
কোভিডের কারণে অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেক বেশি খারাপ অবস্থা ইংল্যান্ড শিবিরের। সাপোর্ট স্টাফ এবং তাদের পরিবারের সদস্য নিয়ে মোট সাতটি করোনা পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে ইংল্যান্ডের শিবিরে। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন দলের প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী ফাস্ট বোলিং কোচ জন লুইস, স্পিন কোচ জিতেন প্যাটেল এবং স্টেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশানিং কোচ ড্যারেন ভেনিস-ও আইসোলেশনে রয়েছেন। সিডনি টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলাবেন ব্যাটিং প্রশিক্ষক গ্রাহাম থর্প।
অ্যাশেজের পরবর্তী দুই টেস্ট এখন নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম তিন টেস্টে ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড এবং মেলবোর্নে ইংল্যান্ড'কে নাস্তানাবুদ করে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ঐতিহ্যের অ্যাশেজ ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ জিতলেও কোনও রকম ভাবে গা ছাড়া ভাব দিতে নারাজ প্যাট কামিন্সের দল। অস্ট্রেলিয়া শিবিরের লক্ষ্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে হোয়াইট ওয়াশ করে দেশে ফেরানো। সিডনি'র পর সিরিজের শেষ টেস্ট খেলা হবে হবার্টে।