সেঞ্চুরিয়নে ঐতিহাসিক জয়ে তৃপ্ত বিরাট-রাহুল, টিম হোটেলে নৃত্যরত চেতেশ্বর পূজারার ভিডিও ভাইরাল
সেঞ্চুরিয়নে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে টেস্ট জিতল ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জোহানেসবার্গে, সোমবার থেকে। জো'বার্গে কখনও টেস্টে হারেনি ভারত, ২০১৮ সালে শেষ টেস্টটি জিতেছিলেন বিরাট কোহলিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার সুপারস্পোর্ট পার্কের দুর্গ যেভাবে ভারত ভেঙেছে, একদিন বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ার পরেও, তাতে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তনরা। ২০২১ সালটা জয় দিয়ে শেষের পর পার্টি মুডে টিম ইন্ডিয়াও। করোনা আক্রান্ত বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টুইটে বিরাট-জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টেস্টের ফলাফলে মোটেই অবাক নই। ভারতকে এই সিরিজে হারানো মোটেই সহজ হবে না।
Great victory for Team India ..not surprised by the result at all...will be a hard team to beat this series..South africa will have to play out of their skins to do that ..enjoy the new year @bcci
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) December 30, 2021
Scenes from Centurion 👌https://t.co/Z3MPyesSeZ goes behind the scenes post #TeamIndia's historic win at SuperSport Park 🏟️🙌
— BCCI (@BCCI) December 30, 2021
Full video coming up soon 📽️ - Stay tuned ⏳#SAvIND pic.twitter.com/oKyGhm0MxF
200 Test wickets ✅
— BCCI (@BCCI) December 30, 2021
100 dismissals as wicket-keeper ✅
Special milestones call for a celebration 🍰🙌#TeamIndia | #SAvIND | @MdShami11 | @RishabhPant17 pic.twitter.com/lj8CZHMaBs
সেঞ্চুরিয়নে সেলিব্রেশন
সেঞ্চুরিয়নে জয়ের পর মহম্মদ শামির ২০০তম টেস্ট উইকেট ও ঋষভ পন্থের ১০০তম টেস্ট শিকারের সেলিব্রেশন হলো কেক কেটে। টিম হোটেলে ভারতীয় দলকে স্বাগত জানানো হলো দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রাইবাল ডান্সের মাধ্যমে। সেই জুলু ডান্সের তালে পা মেলালেন ফর্মে না থাকা চেতেশ্বর পূজারা। তাঁর সঙ্গী হলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মহম্মদ সিরাজ। সিরাজ সেঞ্চুরিয়নে উইকেট পাওয়ার পর কখনও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কখনও আবার সিআর সেভেনের সঙ্গে লিওনেল মেসির সেলিব্রেশনের ভঙ্গিমাকে মিশিয়ে চর্চায় ছিলেন অভিনব সেলিব্রেশনের মাধ্যমে। আর হোটেলে ফিরে পূজারার সঙ্গে নাচ। অশ্বিন সেই ভিডিও শেয়ার করতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল।
|
সতীর্থদের প্রশংসায় কোহলি
বিরাট কোহলি সেঞ্চুরিয়নে জয়ের পর বলেন, একটা দিন বৃষ্টিতে খেলাই হয়নি। তারপরও আমরা জেতায় বোঝাই যাচ্ছে কতটা ভালো খেলেছে আমাদের দল। বোলাররা যেভাবে জয় নিশ্চিত করলেন তা আমাদের দলের ক্ষমতা আরও একবার জনসমক্ষে আনল। তবে বিগত দুই-তিন বছর ধরেই এমনটা আমরা করে আসছি। ব্যাটাররাও শৃঙ্খলা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে, বিশেষ করে সেঞ্চুরিয়নে ব্যাট করা সহজ নয়। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। তা সত্ত্বেও ময়াঙ্ক ও রাহুল যেভাবে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছেন তাতে তাঁদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ৩০০-৩২০-র বেশি হলে আমরা সুবিধাজনক জায়গায় থাকব সেই বিশ্বাস ছিল। বোলারদের প্রতি আস্থা ছিল, নিশ্চিত ছিলাম বোলাররা ম্যাচ বের করে দেবেন।
|
অন্যতম সেরা বছর
বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটিই ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট দল কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে সুনীল গাভাসকর বলেছেন, একেক সময় একেকরকম পরিবেশ, পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায় সমস্ত দল। তাই কোনও দলের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট একটিকে সেরা বলে বেছে নেওয়া যায় না, উচিতও নয়। ভারতীয় দল এখন নিঃসন্দেহে ভালো খেলছে, সেই জয়কেই উপভোগ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন সানি। গাব্বা, লর্ডস, ওভাল, সেঞ্চুরিয়নে চলতি বছর টেস্ট জিতেছে ভারত। ভারতের সহ অধিনায়ক তথা সেঞ্চুরিয়নে সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়া লোকেশ রাহুল বলেছেন, ২০২১ সালটা ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা বছরগুলির মধ্যে অন্যতম। ভারতীয় দলের পক্ষে সুপার সুপার স্পেশ্যাল ইয়ার! এই বছরে আমরা দলগতভাবে যে সব কীর্তি গড়েছি তা সত্যিই স্পেশ্যাল।
|
সাফল্যের রহস্য
কঠোর পরিশ্রম আর শৃঙ্খলা দেখাতে পারাতেই এই সাফল্য বলে মনে করেন রাহুল। তাঁর কথায়, আমরা সকলেই বিগত কয়েক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আসছি। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খুব ভালো। সেঞ্চুরিয়নে আমাদের জয় অবশ্যই গ্রেট টেস্ট ভিকট্রি। এই টেস্ট শুরুর দু-সপ্তাহ আগে থেকে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি তার ফলেই এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সেঞ্চুরিয়নে আমরা জিততে পারলাম। দলগত সংহতিতেই সিরিজে আমরা এগিয়ে গেলাম। এটা আমাদের তৃপ্তি দিচ্ছে। এই জয় উপভোগ করব আর একদিন, তারপরই অনুশীলনে নেমে পরের টেস্টের জন্য ফোকাসড থাকতে হবে।
|
মিশন জোহানেসবার্গ
চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানেরা রান না পেলেও সুনীল গাভাসকর বলেছেন, সচরাচর কোনও দল উইনিং কম্বিনেশন পরের ম্যাচে ভাঙে না। ভারতেরও উইনিং কম্বিনেশন ভাঙা উচিত নয়। সেটা হবে কিনা তা অবশ্য পরে স্পষ্ট হবে। কিন্তু ভারতীয় দল সিরিজে এগিয়ে গিয়ে মাথায় রাখছে ২০১৮ সালে সিরিজের শেষ টেস্টে জোহানেসবার্গে জয়ের ঘটনা। অনেকেই মনে করেন, ওই জয় থেকে পাওয়া আত্নবিশ্বাস সম্বল করেই বিদেশে সফল হয়েছে ভারত। বিরাটও বলেন, গতবার জোহানেসবার্গ থেকে আমরা প্রচুর আত্মবিশ্বাস আদায় করে নিতে পেরেছিলাম। ওখানে খেলতে আমরা বরাবরই পছন্দ করি।