বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে একাধিক মাইলস্টোনের সামনে অশ্বিন-পূজারা
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে একাধিক মাইলস্টোনের সামনে অশ্বিন-পূজারা
ঢাকার মিরপুরে শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত হতে চলা ভারত বনাম বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে একাধিক নজির তৈরির হাতছানি বর্ষীয়াণ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সামনে।
কপিল দেব, শেন ওয়ার্নের সঙ্গে একই তালিকায় আসার সুযোগ অশ্বিনের সামনে:
টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০০ হাজার রান করা থেকে মাত্র ১১ রান দূরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এক জন দক্ষ বোলার হিসেবে ব্যাট হাতে টেস্ট ক্রিকেটে তিন হাজার রান করতে পারানা অনেক বড় বিষয়। তিনি যদি ঢাকায় তিন হাজার রান পূর্ণ করতে পারেন তা হলে কিংবদন্তি কপিল দেব, শেন ওয়ার্ন, রিচার্ড হাডলি, শন পোলাকের সঙ্গে একই তালিকায় জায়াগ করে নেবেন। কপিল, পোলক, ওয়ার্ন এবং হাডলি, প্রত্যেকেই টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০-র বেশি উইকেট সংগ্রহ করেছেন এবং তিন হাজারের উপর রান করেছেন। অশ্বিনের ঝুলিতে টেস্ট উইকেট সংখ্যা ৪৪৩টি।
অনিল কুম্বলের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ অশ্বিনের সামনে:
অশ্বিনের সামনে সুযোগ রয়েছে দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে এবং সারা বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৪৫০ উইকেট সংগ্রহ করার। বর্তমানে ভারতের দ্রুততম ৪৫০ টেস্ট উইকেট সংগ্রহকারী অনিল কুম্বলে। ২০০৫ সালে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ৯৩তম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৫০তম উইকেটটি সংগ্রহ করেছিলেন এই লেগ স্পিনার। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তিন মুথিয়া মুরলীধরন। ২০০৩ সালে ক্যান্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ৮০তম টেস্ট ম্যাচে ৪৫০ নম্বর উইকেটটি পেয়েছিলেন তিনি। ৮৭ ম্যাচে বর্তমানে অশ্বিনের উইকেট সংখ্যা ৪৪৩টি।
নজিরের সামনে চেতেশ্বর পূজারা:
টেস্ট ক্রিকেটে নজির গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা। টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০০ রান পূর্ণ করা থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ১৬ রান করতে পারলে অষ্টম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আট হাজার রান পূর্ণ করবেন তিনি।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্ট:
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে প্রথম দুইয়ে শেষ করার জন্য ভারতের কাছে এখন পরবর্তী প্রতিটা টেস্ট ম্যাচই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামে জেতার ফলে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসে ভারত। এর কিছু পরেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা পরাজিত হওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে ভারত। প্রথম দুইয়ে থাকতে গেলে ভারতকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে ঢাকাতেও।