আইপিএল ২০১২-র আগে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করেও এই কারণে নাইটদের দায়িত্ব নেননি ছয়টি রঞ্জিজয়ী চন্দ্রকাণ্ড পণ্ডিত
আইপিএল ২০১২-র আগে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করেও এই কারণে নাইটদের দায়িত্ব নেননি ছয়টি রঞ্জিজয়ী চন্দ্রকাণ্ড পণ্ডিত
ক্রিকেটে কোনও দল সাফল্য পেলে খুব বেশি লাইম লাইটে থাকেন না কোচ। বরং হাজার ওয়াটের আলোর কেন্দ্রে থাকেন সেই দলের অধিনায়ক এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররা। কিন্তু রঞ্জি ট্রফি জয়ী মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্যতম।
এই মধ্যপ্রদেশে তারকা বলতে সেই রকম কেউ নেই কিন্তু এই দলের যিনি কোচ সেই চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত নিজেই হলে মহাতারকা। ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা তিন কোচের মধ্যে এক জন তিনি। তাঁকে দ্রোণাচার্য গুরুও বলা হয়ে থাকে। তাঁর দল যখন রঞ্জি ট্রফি জিতেছে তখন আলোচনার প্রধান কেন্দ্রে থেকেছেন কিংবদন্তি পণ্ডিত। কোচিং কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত ছয় বার রঞ্জি ট্রফি জিতেছেন তিনি। মুম্বইকে তিন বার চ্যাম্পিয়ন করিয়েছে, দু'বার জিতিয়েছে বিদর্ভকে। প্রথম বার জেতালেন মধ্যপ্রদেশকে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ফাইনালে মধ্যপ্রদেশ ছয় উইকেটে পরাজিত করে রঞ্জির সফলতম দল মুম্বইকে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসংখ্য সাফল্য থাকলেও কখনও আইপিএল-এর কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত হননি পণ্ডিত। এটা কি ভাবায় ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে? পিটিআইকে এই প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্রকান্ত বলেন, "যদি ফোন করি তা হলে কিছু পেয়ে যাব কিন্তু ওটা আমার স্টাইল নয়।" চন্দ্রকান্ত জানিয়েছেন ২০১২ আইপিএল-এর আগে কী ভাবে তাঁর সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান কর্ণধার শাহরুখ খানের মিটিং সেট হয়েছিল। প্রায় দশ বছর আগের সেই সাক্ষাৎ সম্পর্কে পণ্ডিত বলেছেন, "সেই সময়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। কিন্তু যে কোনও ভাবে এক জন বিদেশি কোচের অধীনে কাজ করাটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।"
মধ্যপ্রদেশের হয়ে ট্রফি জয় আলাদাই তৃপ্তি দিয়েছে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। অধিনায়ক হিসেবে যেটা করতে পারেননি, সেই অধরা স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করলেন কোচ হিসেবে। তিনি বলছিলেন, "প্রত্যেকটা ট্রফিই তৃপ্তি দেয় কিন্তু এটা বিশেষ আমার কাছে। মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক হিসেবে এটা আমি করতে পারিনি (২৩ বছর আগে)। এতগুলো বছর আমি সব সময়ে অনুভব করে গিয়েছি যে এখানে কিছু কাজ আমার বাকি আছে।"
লক্ষ্য একবার ব্যাবহারযোগ্য প্লাস্টিক নির্মূল করা, পয়লা জুলাই থেকে জারি কড়া নিষেধাজ্ঞা
খেলোয়াড় হিসেবে বহু বার তাঁকে শিকার হতে হয়েছে অপ্রাপ্তির। চিপক টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিখ্যাত ড্র-এর ম্যাচে তিনি ৩৯ রান করেছিলেন। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি ২৪ রানে সেট হয়েও আউট হয়ে যায়ন। ভারত সেই ম্যাচ হেরে যায়। এছাড়া ১৯৯০ রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে কপিল দেবের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২ রানে হার তো রয়েছেই।