অস্ট্রেলিয়া নাগপুর টেস্টের একাদশ বাছতে গিয়ে সমস্যায়! স্পিন বোলিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক কামিন্স
অস্ট্রেলিয়া নাগপুর টেস্টে নামার আগে রবিবার পর্যন্ত আলুরে প্রস্তুতি শিবির চালাচ্ছে। সোমবার যাবে নাগপুরে। দলের স্পিন বোলিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। একাদশ ঠিক করবেন নাগপুর পৌঁছেই।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া চার টেস্টের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শুরু আগামী বৃহস্পতিবার। আপাতত বেঙ্গালুরুর আলুরে টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি শিবির চলছে অজিদের। মূল ফোকাস ভারতের স্পিন সহায়ক উইকেটের চ্যালেঞ্জ সামলানো। প্রথম একাদশ বাছতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের ১ নম্বর টেস্ট দল। যদিও স্বস্তিতে রাখছে স্পিন বোলিং আক্রমণ।
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্যাট কামিন্স বলেন, অভিজ্ঞ স্পিনার নাথান লিয়ঁর সঙ্গে জুটি বাঁধার জন্য স্পিন বিভাগে একাধিক বিকল্প রয়েছে। ফিঙ্গার স্পিন, রিস্ট স্পিন অপশন রয়েছে। এ ছাড়া বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক পরের টেস্টে এসে গেলে পেস বিভাগের শক্তিও বাড়বে। আমরা সব সময়ই এমন বোলারদের দলে রাখি যাঁরা ২০ উইকেট তুলতে সক্ষম। নাগপুর গিয়ে উইকেট দেখে তবেই একাদশে এক না দুজন স্পিনার রাখা হবে সেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়া ভারতে এসে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলে গিয়েছে ২০১৭ সালে। কামিন্স বলেন, আগের দলের সঙ্গে অ্যাশটন অ্যাগার ছিলেন। মিচেল সোয়েপসন শেষ দুটি বিদেশ সফরে গিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। টড মারফিও ইতিমধ্যেই দলকে ভরসা দিয়েছেন। ফলে নাথান লিয়ঁকে সাপোর্ট করার মতো স্পিনার আমাদের রয়েছেন। ট্রেভিস হেডও ভালো অফ-স্পিন বোলিং করতে পারেন। আমাদের দলে বৈচিত্র্যের অভাব নেই, ভারসাম্য বজায় রেখেই একাদশ চূড়ান্ত হবে। এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও বোলিং আক্রমণ আমরা ঠিক করে রাখিনি।
কামিন্স মনে করিয়ে দিয়েছেন, স্পিন বোলিং নিয়ে চর্চার মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা যে সব ধরনের উইকেটে সাফল্য পান সেটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সিডনির উইকেটে অনেক সময় সিমারদের সাহায্য পাওয়ার মতো কিছু থাকে না। কিন্তু তার মধ্যেও উইকেট আদায় করে নেন পেসাররা। কামিন্স নিজেও উপমহাদেশে টেস্টে সাফল্য পেয়েছেন। রাঁচিতে আগেরবার সফরে ৬ বঠর পর টেস্ট খেলতে নেমে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি ও অজিঙ্ক রাহানেকে আউট করেছিলেন কামিন্স। ৪ উইকেট নেন ১০৬ রানের বিনিময়ে। সেই স্পেল মনে রেখে কামিন্স বলেছেন, পেসাররা উইকেট থেকে যদি সুবিধা আদায় করতে নাও পারেন তাহলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করে যেতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে ক্যামেরন গ্রিনকে পাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বলেন, গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ধরা পড়েছে গ্রিনের ক্ষেত্রে। প্রথম টেস্টে তাঁর নামার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছি না। শুধু বোলিং করার ক্ষেত্রে নয়, ব্য়াটিংয়ের সময় লাফিয়ে ওঠা কোনও ডেলিভারিও অস্বস্তি বাড়াতে পারে। ফলে আঙুলের চোট নিয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে ভালো বোলিং করার ফাঁকেই আঙুলে চোট পান গ্রিন।