ঝুলন গোস্বামী শেষ ইনিংসে ফিরলেন খালি হাতেই, সিএবি করল বিরাট ঘোষণা
ঝুলন গোস্বামীর বিদায়ী ম্যাচ যে কোনও মূল্যে জিততে চাইছে হরমনপ্রীত কৌরের ভারত। যদিও সেই কাজটা সহজ হবে না। ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে আজ লর্ডসে বড় স্কোর তুলতে পারল না ভারতের প্রমীলা বাহিনী। ইংল্যান্ডের মহিলা দলের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারত ৪৫.৪ ওভারে ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে। ঝুলন গোস্বামী ফিরেছেন খালি হাতেই।
|
শেষ ম্যাচে শূন্য
টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। টসের সময় হরমনপ্রীত কৌর সঙ্গে নিয়ে যান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামীকে। তার আগে টিম হাডলে কান্নায় ভেঙে পড়েন হরমনপ্রীত। তাঁকে বুকে টেনে নেন ঝুলন। ভারতের হয়ে এদিন অর্ধশতরান করেন দীপ্তি শর্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। স্মৃতি পাঁচটি চারের সাহায্যে ৭৯ বলে ৫০ রান করেন। সাতটি চারের সাহায্যে ১০৬ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন দীপ্তি। ঝুলন আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন, ফ্রেয়া কেম্পের বলে বোল্ড। শেফালি ভার্মা, যস্তিকা ভাটিয়া, ঝুলন গোস্বামী, রেণুকা সিং ও রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় শূন্য রানে ফেরেন। পূজা বস্ত্রকার করেন ২২। হরমনপ্রীত কৌর ৪ ও হারলীন দেওল করেন ৩। কেট ক্রস ২৬ রানে চার উইকেট দখল করেন। ঝুলনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় ইংল্যান্ড দলের তরফে।
|
সিএবির উদ্যোগ
ঝুলনের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচটি কলকাতার একটি মাল্টিপ্লেক্সে দেখানোর বন্দোবস্ত করে সিএবি। সেখানে একসঙ্গে বসে খেলা দেখলেন বাংলার ১৭০ জন মহিলা ক্রিকেটার। ছিলেন সিএবি কর্তারাও। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বলেন, আমরা ইডেন গার্ডেন্সের একটি স্ট্যান্ড ঝুলনের নামাঙ্কিত করতে চলেছি। ঝুলন একজন স্পেশ্যাল ক্রিকেটার, কিংবদন্তি। ঝুলনের নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ করার জন্য সেনাবাহিনীর অনুমতি চাওয়া হবে। বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঝুলনকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সিএবির।
অভিষেক চান আইপিএলে
অভিষেক ডালমিয়া আরও বলেন, সিএবি মহিলা ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে বরাবর। সে কারণে প্রচুর ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলেছেন। এখনও অনেক ক্রিকেট-প্রতিভা রয়েছেন। তাঁরা ঝুলনের কীর্তিতে নিশ্চিতভাবেই অনুপ্রাণিত হবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আমরা চাই ঝুলন গোস্বামী মহিলাদের আইপিএলেও খেলুন।
বাংলার মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে ঝুলনকে সামিল
সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ঝুলন একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। মহিলা ক্রিকেটে তিনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে জোরে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে। ইতিমধ্য়েই ঝুলনকে বাংলা মহিলা ক্রিকেট দলের মেন্টর করা হয়েছে। তিনি আমাদের ক্রিকেটারদের মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে বিশ্বাস। মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতেও ঝুলনকে আরও বেশি করে সামিল করা হবে। তিনি চাইলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেন। সিএবি মহিলা ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেয় বলেই সাফল্যও আসছে।
(ছবি- সিএবি মিডিয়া)