কিং কোহলির ফর্মে ফেরার পরও ভারত ২২৩! কেপ টাউনে দিনের শেষে চিন্তা কমালেন বুমরাহ
কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেও পুরো দিনটা কাটাতে পারল না ভারত। বিরাট কোহলির ৭৯ রানের পরও ভারত অল আউট হয়ে গেল ২২৩ রানে। দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ডিন এলগারের উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তুলেছে। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের জন্মদিনে ভারতের ব্যাটিং হতাশই করল ভক্তদের।
বিরাট ফর্মে
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল (১২) ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১৫)। দ্বিতীয় সেশনে চেতেশ্বর পূজারা (৪৩) ও অজিঙ্ক রাহানের উইকেট হারায় ভারত। চা বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল ৫৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১। ভারতের শেষ ৬টি উইকেট পড়ে মাত্র ৫৬ রানে। চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে বিরাট কোহলির পার্টনারশিপে উঠেছিল ৬২ রান। ঋষভ পন্থকে নিয়ে ৫১ রান যোগ করেন বিরাট। ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর ব্যাট করতে নেমে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারত অধিনায়ক ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় সেশনে করেন আরও ২৫ রান। তৃতীয় সেশনে তিনি কেরিয়ারের ২৮তম অর্ধশতরানটি পূর্ণ করেন।
সঙ্গীর অভাবে শতরান অধরা!
ঋষভ পন্থ করেন ৫০ বলে ২৭। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২, শার্দুল ঠাকুর ১২ ও জসপ্রীত বুমরাহ শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ২১০ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন বিরাট। কিন্তু কাগিসো রাবাডাকে আক্রমণে এনে বাজিমাত করেন ডিন এলগার। নিজের ৫০তম টেস্টে বিরাট কোহলির উইকেটটি তিনি তুলে নেন। কেপ টাউনের চ্যালেঞ্জিং পিচে ডিফেন্সিভ ব্যাটিংয়ের মাস্টারক্লাস দেখালেন কিং কোহলি। তিনি ২৭৩ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ২০১ বলে ৭৯ রান করেন। রয়েছে ১২টি চার ও ১টি ছয়।
ক্ল্যাসিক ইনিংস
ভারতের ২২৩ রানের ৩৪ শতাংশ রানই করেছেন বিরাট। তিনি যতগুলি বল খেলেছেন তার ২৫ শতাংশ খেলতে সক্ষম হয়েছেন মাত্র দুজন। পূজারা খেলেন ৭৭ বল, পন্থ ৫০ বল। বিরাটের ব্যাটিং বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, এদিন ব্যাটিংয়ের সময় ১০০টি ডেলিভারির ৬৪.৭ শতাংশই তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন, যেগুলি ছিল অফ স্টাম্পে। ১৫ বল খেলে শূন্য রানে থাকার পর ১৬ নম্বর বলে চার মারেন। বিরাটের ব্যাটিং, তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হয় বড় রান পেতে তিনি কতটা মুখিয়ে ছিলেন। সঙ্গীর অভাব না হলে যেভাবে ব্যাট করছিলেন শতরান বাধাই ছিল। তবে ২০২২ সাল যেভাবে শুরু করলেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে তাঁর দলের ব্যাটিং মোটেই খুশি করতে পারেনি বিশেষজ্ঞদের।
দুরন্ত রাবাডা
চারটি মেডেন-সহ ২২ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা। ৫৫ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট দখল করেন মার্কো জানসেন। ডুয়ান অলিভিয়ের, লুঙ্গি এনগিডি ও কেশব মহারাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
|
আউট এলগার
জবাবে খেলতে নেমে জসপ্রীত বুমরাহর দুরন্ত ডেলিভারিতে ডিন এলগার আউট হন। কিছুই করার ছিল না জোহানেসবার্গ জয়ের নায়কের, পূজারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ৩ রান করে। ৪.৪ ওভারে ১০ রানের উইকেটটি হারায় প্রোটিয়ারা। দিনের শেষে ৮ ওভারে তারা ১ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তুলেছে। এইডেন মার্করাম ৮ ও নাইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজ ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।