বুমরাহ নেহরাকে পিছনে ফেললেন এলিট লিস্টে, ইংল্যান্ডের লজ্জার রেকর্ড ভারতের বিরুদ্ধে, শামি ১৫০-র ক্লাবে
ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতকে জিততে করতে হবে ১১১ রান। আজ ওভালে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২৫.২ ওভারে জস বাটলারের দল ১১০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে। জসপ্রীত বুমরাহ তিনটি মেডেন-সহ ৭.২ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট দখল করেছেন। সাত ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন মহম্মদ শামি।
শামি ১৫০-র ক্লাবে
এদিন মহম্মদ শামি একদিনের আন্তর্জাতিকে দেড়শোটি উইকেট দখল করলেন। শামি বোলিং ওপেন করেছিলেন। ইংল্যান্ড ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভারটি করতে এসে তিনি বেন স্টোকসকে প্রথম আউট করেন। স্টোকস ১ বলে শূন্য রানে আউট হন। এরপর ১৪.৩ ওভারে শামি জস বাটলারকে আউট করে একদিনের আন্তর্জাতিকে নিজের ১৫০তম উইকেটটি নিশ্চিত করেন। বাটলার ৩২ বলে ৩০ রান করেছেন। ক্রেগ ওভার্টনের উইকেটটিও শামি পেয়েছেন। ৮০তম একদিনের আন্তর্জাতিক খেলতে নেমে তিনি ১৫০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন। আপাতত তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৫১।একদিনের আন্তর্জাতিকে দেড়শো উইকেট দ্রুত পাওয়ার নিরিখে শামি স্পর্শ করলেন রশিদ খানের নজির, আফগানিস্তানের স্পিনারের লেগেছিল ৮০টি ম্যাচ। ভারতের অজিত আগরকার ৯৭তম ম্যাচে এবং জাহির খান ১০৩তম একদিনের আন্তর্জাতিকে দেড়শো উইকেট পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক দ্রুততম বোলার হিসেবে দেড়শো উইকেট পাওয়ার রেকর্ড দখলে রেখেছেন, তাঁর লেগেছিল ৭৭টি ম্যাচ। পাকিস্তানের সাকলিন মুস্তাকের লেগেছিল ৭৮টি ম্যাচ।
বুমরাহর ছয়
একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বোলার হিসেবে ছয় উইকেট নিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। এদিন কেরিয়ারের সেরা বোলিং করলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এতদিন একদিনের আন্তর্জাতিকে সেরা বোলিং করার নজির ছিল আশিস নেহরার। ২০০৩ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি ১০ ওভারে ২টি মেডেন-সহ ২৩ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেছিলেন। আজ বুমরাহ ৬টি উইকেট পেলেন ১৯ রান খরচ করে।
উল্লেখযোগ্য সাফল্য
একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতীয় বোলারদের সেরা পারফরম্যান্সের তালিকায় বুমরাহর এদিনের বোলিং ফিগার রইল তৃতীয় স্থানে। ভারতীয়দের মধ্যে একদিনের আন্তর্জাতিকে সেরা বোলিংয়ের নজিরটি রয়েছে স্টুয়ার্ট বিনির দখলে। ২০১৪ সালে মীরপুরে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২টি মেডেন-সহ ৪.৪ ওভারে ৪ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনিল কুম্বলে ২টি মেডেন-সহ ৬.১ ওভারে ১২ রানে ছয় উইকেট দখল করেছিলেন। তার পরেই রইল বুমরাহর কেরিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। বুমরাহ এজবাস্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে তিনটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি উইকেট পেয়েছিলেন। বার্মিংহ্যাম টি ২০-তে ১০ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
ইংল্যান্ডের লজ্জা
ইংল্যান্ড
এদিন
১১০
রানে
পৌঁছে
ওভালে
নিজেদের
সর্বনিম্ন
স্কোর
টপকাতে
পেরেছে।
তবে
ভারতের
বিরুদ্ধে
একদিনের
আন্তর্জাতিকে
ইংল্যান্ডের
এটিই
সর্বনিম্ন
স্কোর।
চারজন
ব্যাটার
শূন্য
রানে
আউট
হয়েছেন।
তার
মধ্যে
প্রথম
চার
ব্যাটারের
মধ্যেই
তিনজন
রয়েছেন।
২০০৬
সালের
চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফিতে
ইংল্যান্ড
ভারতের
বিরুদ্ধে
শেষ
হয়েছিল
১২৫
রানে।
আজ
ইংল্যান্ড
ইনিংসের
কোমর
ভেঙে
দেন
জসপ্রীত
বুমরাহই।
জাভাগল
শ্রীনাথ
ও
ভুবনেশ্বর
কুমারের
পর
তৃতীয়
ভারতীয়
বোলার
হিসেবে
একদিনের
আন্তর্জাতিকে
প্রথম
১০
ওভারের
মধ্যেই
চার
উইকেট
নেওয়ার
নজির
গড়েন।
১০
ওভারে
ইংল্যান্ডের
স্কোর
ছিল
৫
উইকেটে
৩০।
বুমরাহ
তখনও
পর্যন্ত
২টি
মেডেন-সহ
পাঁচ
ওভারে
৯
রান
দিয়ে
চারটি
উইকেট
নিয়েছিলেন।
এরপর
ইংল্যান্ডের
ইনিংসের
শেষ
দুটি
উইকেটও
তিনিই
তুলে
নেন।