ডেভিড ওয়ার্নার নাম লেখালেন বিরাট-রোহিত-সচিনদের পাশে! একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম কে ৯৯ রানে আউট হন?
কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গতকাল চতুর্থ একদিনের আন্তর্জাতিকে ৪ রানে হেরে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ১১২ বলে ৯৯ রানে আউট হন। ওয়ার্নার টিকে গেলে অজিদের জয় পেতে অসুবিধা হতো না। কিন্তু এই ৯৯ রানে সাজঘরে ফিরেই ওয়ার্নার জায়গা করে নিলেন এমন এক তালিকায় যেখানে রয়েছেন অসংখ্য কিংবদন্তি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক একদিনের আন্তর্জাতিকে কে প্রথমবার ৯৯ রানে আউট হয়েছেন কিংবা এক রানের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান হাতছাড়া সবচেয়ে বেশি কার হয়েছে।
জিওফ্রে বয়কট
টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে জিওফ্রে বয়কট তিনবার ৯৯ রানে আউট হয়েছেন বা এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছেন। ইংল্যান্ডের এই কিংবদন্তি প্রথমবার ১৯৭৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩৪০ বলে ৯৯ রান করে আউট হন। এরপর ১৯৭৯ সালে পারথে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, সঙ্গীর অভাবে পাননি শতরান। বয়কট একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম ব্যাটার যিনি ৯৯ রানে আউট হন। ১৯৮০ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি ১৫৯ বলে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্রুস এডগার, অকল্যান্ডে ভারতের বিরুদ্ধে।
সচিন তেন্ডুলকর
২০০৭ সালের জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যে সচিন তেন্ডুলকর তিনবার একদিনের আন্তর্জাতিকে ৯৯ রানে আউট হন। বেলফাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৩ বলে ৯৯, ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১২ বলে ৯৯ ও মোহালিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিন ৯১ বলে ৯৯ রান করে আউট হয়েছিলেন। সচিন তাঁর কেরিয়ারে নব্বইয়ের ঘরে সবচেয়ে বেশি ১৭ বার আউট হয়েছেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম ৯৯ রানে আউট হন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। ১৯৮৪ সালে কটকে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন ১১১ বলে ৯৯। এক রানের জন্য একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতীয়দের মধ্যে যাঁরা শতরান হাতছাড়া করেছেন তাঁরা হলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড়, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিচি রিচার্ডসন ও পাকিস্তানের মিসবা উল হক তিনবার করে ৯৯ রানে পৌঁছেও শতরান পাননি। রিচার্ডসন ১৯৮৫ সালে শারজায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া টেস্টে তিনি ১৯৮৯ সালে নিউজিল্যান্ড ও ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯৯ রানে আউট হন। মিসবা উল হক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকেও সঙ্গীর অভাবে শতরান পাননি। ঠিক পরের টেস্টেও তিনি ৯৯ রানে আউট হন। এরপর ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তিনি ৯৯ রানে পৌঁছেও এক রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন।
বীরু টেস্টে
বীরেন্দ্র শেহওয়াগ টেস্টে দুবার ৯৯ রানে পৌঁছেও শতরান পাননি। প্রথমবার ২০১০ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এরপর অগাস্টে ফের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন বীরু। তিনি ব্যাট করছিলেন ৯৯ রানে, ভারতের জেতার জন্য দরকার ছিল ১ রান। শেহওয়াগ ছক্কা মারেন, কিন্তু সুরজ রণদিভ নো বল করায় শেহওয়াগকে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকতে হয়।
২ বার করে
শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য একদিনের আন্তর্জাতিকে দুবার ৯৯ রানে আউট হন আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে। ২০০১ সালে কলম্বোয় ভারতের বিরুদ্ধে তিনি ১০২ বলে ৯৯ রানে আউট হন। এরপর ২০০৩ সালে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৩ বলে ৯৯ রান করে আউট হন জয়সূর্য। টেস্টে তিনি ১৯৯ রানেও আউট হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ডিন জোন্স ১৯৮৫ সালে অ্যাডিলেডে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯৮৯ সালে জোন্স পারথে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ৯৯ রানে আউট হন।