ঋদ্ধিমান ইস্যুতে দোষী সাব্যস্ত বোরিয়া মজুমদার, পড়তে পারেন বড় শাস্তির মুখে
ঋদ্ধিমান ইস্যুতে দোষী সাব্যস্ত বোরিয়া মজুমদার, বড় শাস্তির কোপে পড়তে পারেন
অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কু-আচরণ এবং তাঁকে হুমকি দেওয়া বোরিয়া মজুমদারকে নিজেদের তদন্তে শেষে দোষী সাব্যস্ত করেছে বিসিসিআই। জনৈক এই সাংবাদিক কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ঋদ্ধিমানের কাছে দ্বারস্থ হন। ঋদ্ধি কোনও গুরুত্বই না দেওয়া তাঁকে হুমকি দেন বোরিয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, দুই বছরের জন্য বিসিসিআই নির্বাসিত করতে পারে বোরিয়াকে। এই সময়ের মধ্যে দেশের কোনও স্টেডিয়ামের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বোরিয়াকে। সর্ব ভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমটির সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে বিসিসিআই পুরো বিষয়টি নিয়ে আইসিসি'কে চিঠি লিখবে এবং বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকেও জানানো হবে যেন তারা বোরিয়াকে ব্ল্যাকলিস্ট করে।
১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম এই ঘটনা সামনে আসে। যেখানে ঋদ্ধিমান সাহা বোরিয়ার নাম না করেই দু'টি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন টুইটারে এবং দেখান কী ভাবে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য তাঁকে হুমকি দিচ্ছে এই সাংবাদিক। পরিচয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখার শর্তে বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক সংবাদপত্রটিকে বলেছে, "আমার দেশের সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেব যেন ওকে কোনও ভাবেই স্টেডিয়ামের ভিতর প্রবেশাধিকার না দেওয়া হয়। হোম ম্যাচের জন্য মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে না ওকে এবং আমরা আইসিসি'কেও লিখছে ওকে ব্ল্যাকলিস্ট করার জন্য। ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হবে ওর সঙ্গে কথাবার্তায় না থাকতে।"
ওই স্ক্রিনশটটি শেয়ার করে ঋদ্ধিমান লিখেছিলেন, "ভারতীয় ক্রিকেটে আমার সমস্ত রকম অবদানের পর এক জন সাংবাদিকের থেকে এমন কথা শুনতে হচ্ছে আমায়। এখান থেকেই বোঝা যায় সাংবাদিকতা কোথায় গিয়েছে।"
After all of my contributions to Indian cricket..this is what I face from a so called “Respected” journalist! This is where the journalism has gone. pic.twitter.com/woVyq1sOZX
— Wriddhiman Saha (@Wriddhipops) February 19, 2022
বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে 'ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি'। ঋদ্ধিমানের এই স্ক্রিনশট সামনে আসার পর যখন বহু ক্রিকেটার তাঁর সমর্থনে মুখ খোলেন এবং বিসিসিআই-কে এই বিষয়ের মধ্যে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান তখন ভীত বোরিয়া নিজের সাফাইয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন টুইটারে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো করে বলে যান, মনগড়া বিভিন্ন কথা। যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। বিসিসিআই এই ঘটনায় তদন্তের জন্য তৈরি করে তিন সদস্যের একটি প্যানেল। এই প্যানেলে ছিলেন বিসিসিআই-এর সহ সভাপতি রাজীব শুক্ল, কোষাধক্ষ অরুণ ধুমাল এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য প্রাভতেজ ভাটিয়া। এই প্যানেলের সামনে উপস্থিত হয়ে সমস্তাটা খুলে বলেছিলেন ঋদ্ধি এবং সমস্ত তথ্য প্রমাণ তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তারকা উইকেটরক্ষক।