দুঃসময় অব্যাহত লাল হলুদের! ডার্বি-জয়ী ইস্টবেঙ্গলকে চূর্ণ করে স্মরণীয় ট্রফি জয় ভবানীপুরের
ইস্টবেঙ্গলের দুঃসময় যেন কাটছেই না। ফুটবল মাঠে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর লাল হলুদ শিবির ট্রফি জয়ের আশা করছিল জে সি মুখার্জি টি ২০-র সেমিফাইনালে ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোর পর। কিন্তু ভবানীপুর ক্লাবের দাপটে ধুয়ে গেল ইস্টবেঙ্গের যাবতীয় আশা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডেনে নৈশালোকের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভবানীপুর। নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১৮৮ রান। ছটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৪৫ বলে ৬২ রান করেন অভিষেক দাস। সাতটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৩১ বলে ৫৮ রান করেন অগ্নিভ পান। জবাবে খেলতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১৬৩ রানেই শেষ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ১১টি চারের সাহায্যে ৩৩ বলে সর্বাধিক ৫৪ রান করেন সায়নশেখর মণ্ডল। সন্দীপন দাস ৩৮ রানে চারটি এবং প্রভাত মৌর্য ৩২ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অগ্নিভ পান।
সেমিফাইনালে মোহনবাগানকে ১০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, আব্দুল মুনায়েমের কোচিংয়ে দারুণ ছন্দে থাকা ভবানীপুর ক্লাব রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৬ রানে তপন মেমোরিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল।
এদিনই ইডেনে এন সি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল টি ২০ ট্রফিতে তালতলা ইনস্টিটিউটকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শিবপুর ইনস্টিটিউট। টস জিতে তালতলাকে ব্যাট করতে পাঠায় শিবপুর। ছটি চার ও পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ৬১ বলে করা অর্ণব শিকদারের ৯৩ রানের সুবাদে তালতলা তোলে ৪ উইকেটে ১৭০ রান। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শিবপুর। ৪০ বলে সর্বাধিক ৭১ রান করেন দীপক প্রসাদ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১১টি চার ও দুটি ছয়।
ছবি- সিএবি মিডিয়া