ইডেনে অনুষ্টুপের শতরানে রঞ্জি সেমিফাইনালে লড়াইয়ে ফিরল বাংলা
অনুষ্টুপের শতরানে রঞ্জি সেমিফাইনালে লড়াইয়ে ফিরল বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালেও বাংলা দলের ত্রাতা ফের অনুষ্টুপ মজুমদার
কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালেও বাংলা দলের ত্রাতা ফের অনুষ্টুপ মজুমদার। রঞ্জি সেমিফাইনালে এদিন টস জিতে ইডেনে বাংলাকে ব্য়াটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কর্ণাটক। সেই আমন্ত্রণে বাংলা দলের শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভালো হয়নি।
স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই অভিষেক রামণকে ০ রানে সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাকে শুরুতেই জোর ধাক্কা দেন মিথুন।
অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ১৫, সুদীপ চট্টোপাধ্য়ায় ২০, অর্ণব নন্দী ১৭, মনোজ তিওয়াজি ৮ রান করে আউট হন। কর্ণাটকের অভিমন্যু মিথুন ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বাংলা দলের মিডল অর্ডার নড়ে যায়। কর্ণাটকের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে একসয়ম ৬৭ রানে দলের বাংলার প্রথম ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ধীরে চলো নীতি নিয়ে শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গী করে উইকেটে থিতু হন অনুষ্টুপ।
ব্যাটে এদিন ১৭৩ বলে ১২০ রান হাঁকিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষে অপরাজিত রয়েছেন। অনুষ্টুপের ইনিংস ১৮টি চার ও ১টি ছয় দিয়ে সাজানো। সাহবাজ আহমেদ ৫০ বল খেলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫ রানের দামি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। শেষদিকে আকাশ দীপ ৭২ বলে ৪৪ রান যোগ করেছেন। ৩টি চার ও ৩টি ছয়ে দ্রুত রান করেন আকাশ।
যার সুবাদে দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলা ২৭৫ রান তোলে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শেষ উইকেটে পুঁজিতে বাংলা আরও ২৫ রান জুড়তে পারলে, তিনশোর গণ্ডি ছুঁয়ে কর্ণাটককে চাপে ফেলার সুযোগ পেতে পারে। ১২০ রানে ব্যাটিং করা অনুষ্টুপের সঙ্গে ০ রানে ঈশান পোড়েল ক্রিজে রয়েছেন।
উল্লেখ্য এর আগে ওড়িশার বিরুদ্ধে অনুষ্টুপ রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে ১৫৭ রান হাঁকিয়েছেন। কোয়ার্টারের পর এবার সেমিতেও প্রথম ইনিংসে শতরান পেলেন।