লক্ষ্মীরতন শুক্লার তত্ত্বাবধানে ম্যারাথন অনুশীলন শুরু বাংলার, অভিমন্য়ুদের বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল
লক্ষ্মীরতন শুক্লা হেড কোচ হওয়ার পর আজ থেকেই প্রাক-মরশুম অনুশীলনে নেমে পড়লেন বাংলার সম্ভাব্য দলের ক্রিকেটাররা। মনোজ তিওয়ারি, মহম্মদ শামিরা না থাকলেও অভিমন্যু ঈশ্বরন, অনুষ্টুপ মজুমদার থেকে শুরু করে ঈশান পোড়েলরা হাজির ছিলেন অনুশীলনে। ছিলেন সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী, বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল।
লক্ষ্মীর তত্ত্বাবধানে অনুশীলনে বাংলা
প্রথম দিন ওয়ার্ম আপ সেশনের পর চলল ব্যাটিং ও বোলিং অনুশীলন। ভেজা ক্যাম্বিস বলে চলল প্র্যাকটিস। লক্ষ্মীরতন শুক্লা আগেই জানিয়েছিলেন, এই পর্যায়ে যাঁরা আসেন তাঁদের খুব বেশি পরামর্শ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে চাপ সামলে খেলতে হয়, ড্রেসিংরুমে খোলা হাওয়া এনে সেটাই ক্রিকেটারদের বোঝানোর উপর জোর দিতে চান বাংলার অধিনায়ক। টিম বন্ডিংয়েই এবার বাজিমাত করতে চাইছে বাংলা। অধিনায়ক হিসেবে যেমন ছিলেন, কোচ হিসেবেও লক্ষ্মী দলের মধ্যে লড়াইয়ের বীজমন্ত্র গেঁথে দিতে চাইছেন।
বাড়বে প্র্যাকটিসের সময়
প্রথম দিনের অনুশীলনের পর লক্ষ্মী বলেন, প্র্যাকটিস ভালোই হয়েছে। ক্রিকেটাররাও ছন্দেই রয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ফ্রন্টফুট, ব্যাকফুটে কোন ধরনের বল খেলতে হবে তা আজ দেখানো হয়েছে। শুষ্ক ও ভেজা টেনিস বল এবং প্লাস্টিক বলে হুক, স্যুইপ শটেরও বিশেষ অনুশীলন হয়েছে। বোলারদের আজ স্পট বোলিং করতে বলা হয়েছিল। ক্রিকেটে কোন বল খেলতে হবে, কোন বল ছাড়তে হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এদিনের অনুশীলনে সেটার উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে চলে প্র্যাকটিস সেশন। এরপর থেকে ছয় ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে অনুশীলন চলবে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মী।
খুশি অধিনায়ক
বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন বলেন, আজকের প্র্যাকটিস সেশন খুব ভালো হয়েছে। শুরুর দিকে ক্রিকেটের প্রাথমিক বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরের সেশন থেকে গ্রুপ করে করে অনুশীলন হবে। অনেক বিভাগেই উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। গত মরশুমের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেইমতো প্রস্তুতি চলবে। গত মরশুমে আমরা ভালো খেললেও ফাইনালে উঠতে পারিনি। কঠোর পরিশ্রম করে এবার সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
যোগ্যতম এলআরএস
বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর কথায়, যেভাবে আজ থেকে অনুশীলন শুরু হলো তা খুবই ভালো। আগামী টুর্নামেন্টগুলির আগে খুব বেশি সময় হাতে নেই। পাঁচ মাসের লম্বা ক্রিকেট মরশুমের কথা ভেবে যেটুকু সময় হাতে রয়েছে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। আগের মরশুমে আমরা ভালো খেললেও কিছু উন্নতির দরকার রয়েছে। সকালের দিকে কঠোর ট্রেনিং সেশন রাখা হচ্ছে। তারপর পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিয়ে স্কিল ট্রেনিং চলবে। বৃষ্টি চলছে। ফলে ইনডোরে চারটি নেট ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও লক্ষ্মীর পরামর্শে গ্যালারির তলায় আরও ৬টি নেট রাখা হচ্ছে। স্পিনার ও পেসাররা ইনডোরে অনুশীলন করছেন। বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে যাতে অসুবিধা না হয় সেটাই নিশ্চিত করা হচ্ছে। লক্ষ্মী নিজেও দৃঢ় মানসিকতা দেখাতেন খেলার সময়। ফলে কোচ হিসেবে তিনি সেই মেজাজটাই দলের মধ্যে এনে দিতে যোগ্যতম ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন সৌরাশিস।
ম্যাকো বোলিং কোচ
বাংলার অনুশীলনে হাজির ছিলেন শিবশঙ্কর পাল। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে বাংলা দলের বোলিং কোচ হিসেবে। প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে কোচিং স্টাফে যুক্ত থেকে কাজ করতে পেরে খুশি ম্যাকো। তাঁর প্রতি আস্থা রাখায় ধন্যবাদ জানান সিএবিকে। অনূর্ধ্ব ২৫ দলের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বোলারদের সাপ্লাই লাইন ঠিক রাখার দিকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন। বাংলা দল নামিবিয়ায় যাবে চতুর্দলীয় টি ২০ সিরিজ খেলতে। যাতে খেলবে নামিবিয়ার টি ২০ বিশ্বকাপের দলও।
ছবি- সিএবি মিডিয়া
কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের! জুডো ও বক্সিংয়ে পদক নিশ্চিত ভারতের, জয় মহিলা হকিতে