বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় গিয়ে বিপাকে ক্রিকেটার, পুলিশে অভিযোগ দায়ের
বাংলা থেকে ত্রিপুরায় খেলতে গিয়ে বিপাকে এক ক্রিকেটার। ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দার জাল সার্টিফিকেট ও রেশন কার্ড জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সচিব কিশোর দাস। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ত্রিপুরায় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যেই অনৈতিক পথ ওই ক্রিকেটার অবলম্বন করেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, যে ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। উত্তর কলকাতার পাইকপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তিনি ক্রিকেটও খেলেন। অনূর্ধ্ব ১৯ ট্রায়ালের জন্য ওই ক্রিকেটারের নাম ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে পাঠিয়েছিল সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। টিসিএ ১১ জুলাই যে অনূর্ধ্ব ১৯ দল ঘোষণা করে তাতে ওই ক্রিকেটারের নামও ছিল। যদিও সংবাদসংস্থা পিটিআই ওই ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেনি এখনও। তদন্তের স্বার্থেই এমনটা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপরই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। খতিয়ে দেখে সকলে নিশ্চিত হন অভিযুক্ত ক্রিকেটার ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দার যে পিআরটিসি সার্টিফিকেট ও রেশন কার্ড জমা দিয়েছেন তা ভুয়ো। এরপরই নড়েচড়ে বসেন টিসিএ কর্তারা। গতকাল রাতেই পশ্চিম আগরতলা থানায় ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন টিসিএ-র কার্যকরী সচিব কিশোর দাস। বাংলা থেকে ত্রিপুরায় গিয়ে কেন ওই ক্রিকেটার ভুয়ো নথি জমা দিলেন এবং সেই কাজে তিনি কাদের সহযোগিতা পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পশ্চিম আগরতলা থানার অফিসার-ইন-চার্জ সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বাংলা ছেড়ে আগামী মরশুমে ত্রিপুরা দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। গত ৮ জুলাই তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঋদ্ধিমান ত্রিপুরার হয়ে খেলার পাশাপাশি মেন্টরের ভূমিকাও পালন করবেন। ঋদ্ধিমানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরায় ক্রিকেটের মান ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে টিসিএ। ঋদ্ধিমানের হাত ধরে ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা যাতে আইপিএলেও খেলার সুযোগ পান সেই প্রত্যাশা রয়েছে। এই আবহে বাংলার এক উদীয়মান ক্রিকেটার ত্রিপুরায় গিয়ে খেলার জন্য জাল নথি জমা দিয়ে বিপাকে পড়লেন, তা স্বাভাবিকভাবেই লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য বিষয় বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। অভিযোগের তদন্তে কোনও নামজাদা ক্রিকেট কর্তার নাম জড়ায় কিনা সেটাই দেখার।