দুর্ধর্ষ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে বরোদাকে ৭ উইকেটে পরাজিত করল বাংলা
দুর্ধর্ষ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে বরোদাকে ৭ উইকেটে পরাজিত করল বাংলা
অনবদ্য রঞ্জি ম্যাচের সাক্ষী থাকল কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ড। দুর্ধর্ষ বাংলা দল ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে বরোদাকে পরাজিত করল ৭ উইকেটে। বাংলার এই জয়ের নেপথ্যে মূল অবদান রয়েছে বোলারদের।
ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং সুদীপ কুমার ঘঢ়়ামি ব্যাট হাতে দাপট দেখালেও বাংলার বোলারদের বিধ্বংসী দাপটের সামনে তা কিছুই নয়। এই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট তুলে নেওয়ার জন্য বাংলার বোলিং লাইনআপের কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশানেই খেলা শেষ করে দিল বাংলা। এই ম্যাচে জয়ের ৫ ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট দাঁড়াল ২৫।
এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরোদা। প্রথম ইনিংসে বরোদা তোলে ২৬৯/১০। বরোদার হয়ে ৮৫ রান করেন ওপেনার জ্যোৎসনীল সিং। প্রিয়াংশু মোলিয়া করেন ৫০ রান, মহেশ পিথিয়া করেন ৫২ রান। ছন্দে থাকা বরোদার ব্যাটিং অর্ডারকে ভাঙার কাজ করেন বাংলার দুই বোলার আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার, দুইটি গোল করেন সায়ন মণ্ডল।
বাংলার বোলাররা কম রানে বরোদাকে আটকে রাখলেও ব্যাট হাতে সেই সুবিধা নিতে পারেনি মনোজ তিওয়ারির দল। একমাত্র অনুষ্টুপ মজুমদার ছাড়া কোনও বাংলার ব্যাটসম্যান প্রত্যাশা মতো ফলাফল করতে পারেননি। ৯০ রান করেছিলেন অনুষ্টুপ। অভিমন্যু ঈশ্বরনের ব্যাট থেকে এসেছিল ২২ রান, অভিষেক পোড়েল করেন ২৫ রান। বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ৯ রানে আউট।
৮০ রানের লিড নিয়ে বরোাদা নামে দ্বিতীয় ইনিংসে টার্গেট সেট করতে। কিন্তু বাংলার বিধ্বংসী বোলিং লাইনের সামনে খঢ়কুটোর মতো উড়ে যায় বরোদা। একমাত্র ওপেন করতে নামা প্রত্যুশ কুমার ছাড়া বরোদার বাকি ১০ ব্যাটারের রান জুড়লে মুঠো ফোনের নম্বর তৈরি হয়ে যায়। একমাত্র দুই অঙ্কের রানে পৌঁছন প্রত্যুশ করেন অপরাজিত ৬২। ১০০ রানের গণ্ডিও ছুঁয়ে পারেনি তৃতীয় ইনিংসে বরোদা। ৯৮ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। ১৭৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬৮ ওভারে ১৭৯/৩ রান তুলে নেয় বাংলা। দুই ওপেনার অভিষেক দাস (৭) এবং অভিমন্যু ঈশ্বরন (৯) দ্রুত আউট হলেও বাংলার উপর তার প্রভাব পড়তে দেননি সুদীপ কুমার ঘঢ়ামি এবং মনোজ তিওয়ারি। প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করা অনুষ্টুম এই ইনিংসে ৯ রান করেন। তবে, এই তিন উইকেটের পতন সামলে বাংলাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন সুদীপ এবং মনোজ। সুদীপের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭৬ রান এবং মনোজ তিওয়ারির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৬০ রান। বরোদার হয়ে দুই উইকেট পান সোয়েব সোপারিয়া এবং এক উইকেট পান বাবাশাফি পাঠান।