
বিসিসিআই ফেরাচ্ছে দুটি ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট, রঞ্জি ও আম্পায়ারদের নিয়েও বিরাট পদক্ষেপ
করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্রিকেট স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। এবার ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুমকেও চেনা ছন্দে ফেরানোর উদ্যোগ বিসিসিআইয়ের। গতকাল বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এ প্রসঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। পাশাপাশি আম্পায়ারদের জন্যও নতুন ক্যাটেগরি চালু করল সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন বোর্ড।

দলীপ, ইরানি ফিরছে
দলীপ ট্রফি ও ইরানি কাপ বিগত তিনটি মরশুমে হয়নি। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে রঞ্জি ট্রফি বাতিল করা হয়েছিল। গত বছর রঞ্জি ট্রফি হলেও তা কাটছাঁট করে আয়োজন করা হয়। গতকালের বৈঠকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ২০২২-২৩ মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টই হবে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, পুরুষদের ক্রিকেট মরশুম দলীপ ট্রফি দিয়েই শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দলীপ ট্রফি শুরু হবে।

কবে থেকে কোন টুর্নামেন্ট
আগে দলীপ ট্রফি হতো পাঁচটি জোনের দলকে নিয়ে, পরে তা কমে তিনটি দলকে নিয়েই আয়োজন করা হচ্ছিল। রাউন্ড রবিন ফরম্যাটের শেষে প্রথম দুটি স্থানে থাকা দল ফাইনাল খেলত। অক্টোবরের ১ থেকে ৫ তারিখ অবধি ইরানি কাপ আয়োজন করা হবে। ইরানি কাপ হয়ে থাকে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন ও অবশিষ্ট ভারতীয় একাদশের মধ্যে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০ এবার শুরু হতে পারে অক্টোবরের ১১ তারিখ থেকে। ৫০ ওভারের বিজয় হাজারে ট্রফি ১২ নভেম্বর থেকে শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হতে পারে রঞ্জি ট্রফি। নক আউট পর্বের খেলাগুলি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হতে পারে। যাতে আইপিএলের আগেই রঞ্জি শেষ করা যায়।

রঞ্জি ফরম্যাটে বদল
রঞ্জি ট্রফির ফরম্যাটে এবার রদবদল হতে পারে। গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে আটটি এলিট দলকে একেকটিতে রেখে চারটি গ্রুপ করা হবে। যাতে আগের মতো সাতটি করে গ্রুপ ম্য়াচ খেলতে পারে একেকটি দল। ৬টি প্লেট দলকে নিয়ে থাকবে একটি গ্রুপ। রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে কোনও দলকে ১০টি ম্যাচ খেলতে হবে। এতে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বাড়বে বলেও মনে করছে বিসিসিআই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী মরশুম থেকে মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৬ বিভাগও চালু করে দেওয়া হবে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, আইপিএল মিডিয়া স্বত্বের রেকর্ড দর ওঠায় বাড়বে পুরস্কারমূল্যও।

আম্পায়ারদের ক্যাটেগরি
এদিকে, আম্পায়ারদের জন্য নতুন ক্যাটেগরি এ প্লাস (A+) চালু করেছে বিসিসিআই। আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা নীতীন মেনন ছাড়াও ১০ জন আম্পায়ারের এই তালিকায় রয়েছেন অনিল চৌধুরী, মদনগোপাল জয়রামন, বীরেন্দ্র কুমার শর্মা, কে এন অনন্তপদ্মনাভন, রোহন পণ্ডিত, নিখিল পট্টবর্ধন, সদাশিব আইয়ার, উল্লাস গান্ধে, নভদীপ সিং সিধু। এ ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে ২০ জন আম্পায়ার, বি ক্যাটেগরিতে ৬০ জন, সি ক্যাটেগরিতে ৪৬ জন ও ডি ক্যাটেগরিতে ১১ জন আম্পায়ার রয়েছেন। এ প্লাস ও এ ক্যাটেগরিতে থাকা আম্পায়াররা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দিনপিছু ৪০ হাজার টাকা পাবেন। বি ও সি ক্যাটেগরির আম্পায়ারদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ ক্রিকেট মরশুম এবার চালু হলে সব ধরনের টুর্নামেন্ট নিয়ে ১৮৩২টি ম্যাচ হবে। সব পর্যায়ে আম্পায়ারিংয়ের মানোন্নয়নেও সচেষ্ট বিসিসিআই।