২০২৫ থেকে আইসিসি-র তিন ইভেন্ট আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে বিসিসিআই
দুটি বিশ্বকাপ-সহ তিনটি আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের দাবি জানাতে চলেছে বিসিসিআই। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে আজ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে গঠন করা হচ্ছে ১০ সদস্যের কমিটিও। টোকিওগামী অ্যাথলিটদের পাশে দাঁড়িয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার বিষয়টিও এদিনের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে।
তৎপর বিসিসিআই
চলতি বছর টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে বিসিসিআই। তবে সেটি করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে হবে কিনা তা চূড়ান্ত নয়। ভারত থেকে টি ২০ বিশ্বকাপ সরলেও বিসিসিআই-ই থাকবে আয়োজনের দায়িত্বে। ২০২৩ সালে ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বও আগেই পেয়েছে বোর্ড। পরবর্তী আইসিসি ইভেন্টগুলি কোন কোন বছর হবে তা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে আইসিসি।
তিন বিগ ইভেন্ট দাবি
আইসিসি সেই ঘোষণা করতেই তিনটি আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিল বিসিসিআই। বোর্ডের এক শীর্ষকর্তার দাবি অনুযায়ী, এদিনের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে , ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৮ সালের টি ২০ বিশ্বকাপ ও ২০৩১ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানাবে বিসিসিআই। ২০১৭ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছিল। ২০২৪ সাল থেকে আইসিসি-র ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামে জায়গা করে নেবে মিনি বিশ্বকাপ বলে খ্যাত এই টুর্নামেন্ট। ২০২৫ সালে তা আয়োজনের দাবি জানাবে বিসিসিআই। বোর্ডের ওই কর্তা বলেছেন, আমরা চাইছি যাতে দুই থেকে তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও না কোনও আইসিসি ইভেন্ট হোক। উল্লেখ্য, আইসিসি ২০২৪ সাল থেকেই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১৪ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৬-র পরিবর্তে ২০ দলকে নিয়ে আয়োজিত হবে টি ২০ বিশ্বকাপ।
স্বস্তির খবর
বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক স্বস্তির খবর রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্যও। রঞ্জি ট্রফি বাতিলের কারণে যে ক্রিকেটাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁদের সেই সমস্যা সমাধানের রাস্তা বের করতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬টি জোন থেকে একজন করে প্রতিনিধি ওই কমিটিতে থাকবেন। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহ-সহ বিসিসিআইয়ের চার কর্তাও থাকবেন ওই কমিটিতে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, যোগ্যদের বেছে নিয়েই এই আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে। তবে একবারে বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাকে কিছু অঙ্কের টাকা দিতেও রাজি নয় বোর্ড।
ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতি
রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটাররা ম্যাচ প্রতি ১.৪০ লক্ষ টাকা পান। এ ছাড়াও বিসিসিআইয়ের গ্রস রেভিনিউ শেয়ার থেকেও তাঁদের টাকা দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ভালো মানের ঘরোয়া ক্রিকেটাররা, যাঁরা তিন ফরম্যাটে নিয়মিত খেলেন, তাঁরা আইপিএলে সুযোগ না পেলেও বছরে ২০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। গত বছর রঞ্জি-সহ বেশ কিছু টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকায় বহু ক্রিকেটার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গত মরশুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০ ও বিজয় হাজারে ট্রফি হয়েছে। প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টগুলিতে ম্যাচ প্রতি ৩৫ হাজার টাকা ম্যাচ ফি হিসেবে পান।