সৌরভ-জয়ের বিসিসিআই সুপ্রিম কোর্টে জানাল নয়া আর্জি! দ্রুত শুনানি চাওয়ার কারণ কী?
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই সভাপতি ও জয় শাহের বোর্ড সচিব হিসেবে মেয়াদ ফুরাচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরে। যদিও তার পরেও তাঁরা স্বপদে বহাল থাকতে পারেন। কিন্তু তার জন্য দরকার কিছু জরুরি বিষয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বোর্ডের সংবিধানের ছয়টি ধারা সংশোধন। তা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে নয়া আর্জি জানাল বিসিসিআই।
সুপ্রিম আর্জি বিসিসিআইয়ের
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে আজ সিনিয়র আইজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া জানান, বিসিসিআই ২ বছর আগে এপ্রিল মাসে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি ২ সপ্তাহ পরে হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। বোর্ড যাতে দ্রুত সংবিধান সংশোধন করতে পারে সে কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট যাতে এই আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুত শুনানি করে সেই আবেদনই জানানো হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
সংবিধান সংশোধনের অনুমতি
২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় জেনারেল বডি বোর্ডের সংবিধানে ছয়টি সংশোধনের প্রস্তাব রেখেছিল। এর মধ্যে ৬ নং ধারায় বলা হয় বিসিসিআই ও বোর্ড অনুমোদিত রাজ্য সংস্থায় কেউ টানা ৬ বছরের বেশি প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন না। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ে, রাজ্য সংস্থায় বা দুই জায়গা মিলিয়ে কেউ ছয় বছর প্রশাসনিক পদে থাকলে তাঁকে বাধ্যতামূলক তিন বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। সেই সময়কালে তাঁরা কেউ বোর্ড বা বোর্ড অনুমতি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন না। এই নিয়মের জেরে অনেকেরই পদ হারানো নিশ্চিত।
সৌরভ-জয় চাইছেন সুপ্রিম-স্বস্তি
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার আগে ২০১৪ সাল থেকে সিএবি প্রশাসনে সচিব ও তারপর সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। জয় শাহ গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসনিক পদে ছিলেন ২০১৩ সাল থেকে। সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের আবেদনের শুনানি না হওয়ায় বা বোর্ড থেকে সৌরভ, জয় শাহদের সরানোর নির্দেশ শীর্ষ আদালত না দেওয়ায় তাঁরা বর্ধিত মেয়াদ বা এক্সটেনশনে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যাচ্ছে, বোর্ড সংবিধান সংশোধন যেভাবে করতে চাইছে তাতে বলা হচ্ছে যেন এমন কোনও ব্যবস্থা থাকে যাতে বিসিসিআইয়ের পদাধিকারীরা রাজ্য সংস্থার পদে থাকতে পারেন। একই সঙ্গে ছয় বছর মেয়াদের পর যাতে বোর্ডের সভাপতি ও সচিবকে কুলিং অফে যেতে না হয় সে কথাও উল্লেখ রয়েছে সংশোধিত সংবিধানে।
আগামী সপ্তাহে শুনানি
২০১৮ সালে জাস্টিস লোধা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ডের সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে বিসিসিআই যাতে পেশাদার ক্রীড়াবিদদের নিয়ন্ত্রণে থেকেই পরিচালিত হয় সেটা সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল। তবে সংবিধানে কোনও সংশোধন আনতে হলে শীর্ষ আদালতের অনুমতি লাগবেই। এখনও বিষয়টি আদালতের নজরদারিতেই রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বোর্ডের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে যায়। বিসিসিআইও কিছুটা সময় চেয়েছিল। Amicus Curiae-র জেরে শুনানি প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। গত বছরের ১৬ এপ্রিল সিনিয়র আইনজীবী পিএস নরসিংহ সময় চেয়ে নেন, তিনি নিজেই এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়ে গিয়েছেন। যে বিচারপতির এজলাসে বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির কথা ছিল সেই বিচারপতি এলএন রাও অবসর নিয়েছেন। সবমিলিয়ে আগামী সপ্তাহে সৌরভ-জয়ের বিসিসিআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় কিনা সেটাই দেখার।
সচিনের পাশে দাঁড়ানো কিংবদন্তিকে চিনছেন? ইনস্টাগ্রামে নতুন কোন কীর্তিতে লর্ডসকে জড়ালেন তেন্ডুলকর?