বিসিসিআইয়ের কাঁধে আচমকাই ২৭০ কোটি টাকার বোঝা! কারণটা জেনে নিন
বিসিসিআইয়ের কাধে আচমকাই ২৭০ কোটি টাকার বোঝা। আজ মুম্বইয়ে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক বসেছিল। সেখানে শীর্ষকর্তারা এই বিষয়েই আলোচনা করেছেন বলে বোর্ডসূত্রে খবর। স্টার ইন্ডিয়া ও বাইজু'সের দাবি সামলানোর উপায় খুঁজছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট সংস্থা। শুধু তাই নয়, জার্সি স্পনসর খোঁজাও এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ বিসিসিআইয়ের।
ভারতে যে সমস্ত আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বা সিরিজ রয়েছে তা সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে স্টার ইন্ডিয়া। চুক্তির অঙ্কে এবার ১৩০ কোটি ছাড় দিতে বোর্ডকে বার্তা দিয়েছে এই সংস্থা। সেই সঙ্গে বাইজু'স আর জার্সি স্পনসর থাকতে রাজি নয়। চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে যেতে চাইছে এই সংস্থাটি। কিন্তু চুক্তির শর্ত মেনে প্রায় ১৪০ কোটি টাকার ব্য়াঙ্ক গ্যারান্টি এবার বোর্ডের কাছে দাবি করেছে এড-টেক সংস্থা। আজ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকটি ভার্চুয়ালি চলে ঘণ্টাখানেক ধরে।
গত নভেম্বরেই বাইজু'স জানিয়ে দিয়েছিল তারা আর ভারতীয় দলের জার্সি স্পনসর থাকবে না। তখন বিসিসিআই তাদের অনুরোধ করেছিল মার্চ অবধি চুক্তি বহাল রাখার জন্য। তার আগে গত বছরের জুন মাসে এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের নভেম্বর অবধি বাড়ানোর বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে সহমত হয় বাইজু'স। চুক্তির অঙ্ক ছিল ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসেবে বিসিসিআইকে ১৪০ কোটি টাকা দেওয়া হয়, বাকি ১৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি ইনস্টলমেন্টে দেওয়ার কথা ছিল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী। বাইজু'স ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম স্পনসর ছিল। সংস্থাটিকে লাভজনক রাখতে মার্চ মাসের মধ্যে ৫০ হাজার কর্মীর মধ্যে থেকে আড়াই হাজার কর্মী সঙ্কোচনের পথে হাঁটতে চলেছে তারা। ফলে ভারতের জার্সি স্পনসর থেকে সরার ব্যাপারটির সঙ্গেও এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ অবধি ভারতের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের মিডিয়া স্বত্ত্ব বাবদ স্টার ইন্ডিয়া বিসিসিআইকে ৬১৩৮.১ কোটি টাকা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে কিছু ম্যাচের সূচি বদলানোয় এবার বোর্ডের কাছে ১৩০ কোটি ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছে স্টার ইন্ডিয়া। কিন্তু এ ব্যাপারে বিসিসিআই কর্তারা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। বোর্ড আগামী পাঁচ বছরের জন্য মিডিয়া স্বত্ত্ব বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। আইপিএলের মিডিয়া রাইটসের দর উঠেছিল ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা। নতুন মিডিয়া রাইটসের চুক্তি যেখানে ফের নজির গড়বে বলে আশায় বোর্ডকর্তারা, সেখানে স্টারের এই ছাড় চাওয়ার আবেদন মোটেই ইতিবাচক বিষয় নয়।