ঋদ্ধিমান সাহার চাঞ্চল্যকর দাবি! বিসিসিআইয়ের নির্বাসনের মুখে পড়া সাংবাদিকের মুখোশ খুলছে
ঋদ্ধিমান সাহা টুইটে জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদারের কীর্তির কথা! সাক্ষাৎকার নেওয়ার আর্জিতে ঋদ্ধিমান সাড়া দেননি। অন্য সংবাদমাধ্যমগুলিতে ঋদ্ধিকে সাক্ষাৎকার দিতে দেখেই বোরিয়া ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটারকে হুমকি দেন। ঋদ্ধিমান বোরিয়ার হুমকির কথা প্রকাশ্যে আনার পর সিএবিকে পাশে পাননি, উল্টে উড়ে এসেছিল কটাক্ষ। তদন্ত শুরু করে বিসিসিআই এবং বোরিয়াকে দুই বছর নির্বাসিতও করা হয়েছে গত মে মাসে। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ওই অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন ঋদ্ধি।
ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে বোরিয়া তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বিকৃত করার দাবি করলেও এই অভিযোগ বোর্ডের তদন্তে ধোপে টেকেনি। সম্প্রতি ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন, সেবারই নয়, বোরিয়া আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ঋদ্ধিমানের কথায়, আমি দেখাতে চেয়েছিলাম একটা সাক্ষাৎকারের জন্য একজন সাংবাদিক কতটা নীচে নামতে পারেন! আমি পরে জানতে পেরেছি ওই সাংবাদিক এমনটা আগেও করেছেন। সে কারণেই বিসিসিআই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং ওই সাংবাদিককে শাস্তি দিয়েছে। আমি প্রথমে মুখ খুলিনি বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার শর্ত মেনেই।
বোরিয়ার আচরণ দেখে স্তম্ভিত ঋদ্ধিমান আরও বলেন, প্রথমে আমি এটাই ভেবেছিলাম যে হুমকির ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনব না। কেন না, সকলেরই কেরিয়ার রয়েছে। কিন্তু যদি এমন আচরণের পরেও কারও খেদ বা আক্ষেপ না দেখা যায় তাহলে কতক্ষণ আর চুপ থাকা যায়? ঋদ্ধিমান দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন এবং তারপরেই সামনে আসে বোরিয়ার কীর্তির কথা। বিসিসিআই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পরও টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে অবাক হয়েছিলেন ঋদ্ধি। সেই সময় সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির সমালোচনা করেন। দেবব্রত যেভাবে দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাতে অভিমানী ঋদ্ধিমান বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
ঋদ্ধির সমালোচনা করা ওই দেবব্রত দাসকে 'পুরস্কারস্বরূপ' ভারতীয় দলের ম্যানেজার করে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। এতেও বিসিসিআইয়ের উপর অনেকে ক্ষুব্ধ। ঋদ্ধি শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই সিএবিতে গিয়ে অন্য রাজ্যে খেলার জন্য এনওসি নেবেন। গুজরাত, ত্রিপুরা, বরোদার হয়ে খেলার প্রস্তাব রয়েছে। ঋদ্ধি জানিয়েছেন, তিনি কোনও উঠতি কিপারের উত্থানের পথে বাধা হবেন না। বয়সের কারণে তাঁকে ছেঁটে ফেলা নিয়ে নির্বাচকদের দ্বিচারিতার দিকে আঙুল তুলেছেন। কটাক্ষ করে বলেছেন, নির্বাচকরা নতুন মুখ দেখতে চেয়েছিলেন। তারপরও কার্তিককে নেওয়া হয়েছে হয়তো আমাকে দেখতে তাঁর চেয়ে খারাপ বলেই!