সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কি আইসিসিতে পাঠাচ্ছে বিসিসিআই? কী সিদ্ধান্ত বোর্ডের এজিএমে?
বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে 'প্রাক্তন' হয়ে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে তাঁকে ফিরতে হলো খালি হাতেই। সকলেরই নজর ছিল, আইসিসি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে লড়ার জন্য সৌরভকে বিসিসিআই এগিয়ে দেয় কিনা সেদিকেই। যদিও সেই সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে গেল আজকের বৈঠকে।
সৌরভের আইসিসির পথ বন্ধ
বিসিসিআই সূত্রে খবর, আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলেকেই পরবর্তী টার্মে ওই পদে থাকার জন্য সমর্থন করছে বিসিসিআই। আজকের এজিএমে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বার্কলের বিরুদ্ধে সৌরভকে দাঁড় করাচ্ছে না বিসিসিআই। আইসিসিতে বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন তা ঠিক করার ভার শীর্ষকর্তাদের উপরই ন্যস্ত হয়েছে।
বার্কলেকে সমর্থন, জয় যাবেন আইসিসির সভায়
এদিনের বার্ষিক সাধারণ সভার পর এটা স্পষ্ট নয় কে বা কারা আইসিসিতে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ আইসিসির সভায় উপস্থিত থেকেছেন বিসিসিআইয়ের তরফে। মনে করা হচ্ছে, আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে জয় শাহই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আইসিসি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে মনোনয়নের শেষ দিন ২০ অক্টোবর। বিসিসিআই যদি কাউকে দাঁড় করাতো তাহলে তিনিই আইসিসি চেয়ারম্যান হতে পারতেন। সৌরভকে নিয়ে তাঁর অনুরাগীরা স্বাভাবিকভাবেই আশায় ছিলেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বার্কলেকে তাঁর পদে আরও একটি টার্মে থাকার পক্ষেই সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
সৌরভের বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়া নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস শুরু থেকেই নিশানা করেছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে। গতকাল বিষয়টি অন্য মাত্রা পায় যখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান অমিত শাহর পুত্র জয় যেখানে স্বপদে বহাল থাকলেন সেখানে সৌরভকে কেন সরানো হলো? যোগ্যতম হিসেবে সৌরভকে আইসিসিতে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করবেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাটি বলার আগে উচিত ছিল শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা। সৌরভকে সরানো নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস, সিপিআইএমও। সৌরভ বিজেপিতে যোগ দেননি বলেই তাঁকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো বলে দাবি বিরোধী দলগুলির।
সভাপতি বিনি
এদিকে, আজই বোর্ডের ৩৬তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রজার বিনি। নির্বাচন ছাড়াই তিনি এই পদে আসীন হলেন। বাকি পদাধিকারীদের বিরুদ্ধেও কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। সচিব পদে আরও একটি টার্মের জন্য রয়ে গেলেন জয় শাহ। কোষাধ্যক্ষ হলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা আশিস শেলার, সহ সভাপদি পদে পুনর্বহাল হলেন রাজীব শুক্লা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুগ্ম সচিব হলেন অসমের দেবজিৎ সাইকিয়া।