রাহানে-ইশান্ত-ঋদ্ধিমান বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিতে পদোন্নতি হতে পারে কাদের?
বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে ২১ ডিসেম্বর। সেদিনই বড় ধাক্কা খেতে পারেন অজিঙ্ক রাহানে, ঋদ্ধিমান সাহা ও ইশান্ত শর্মা। সীমিত ওভারের দল তো বটেই, দীর্ঘদিন টেস্ট দলেও ব্রাত্য এই দুই ক্রিকেটার। এবার তাঁরা বাদ পড়তে পারেন বোর্ডের বার্ষিক সেন্ট্রাল কনট্রাক্ট থেকে। তবে বেশ কয়েকজনেক পদোন্নতির সম্ভাবনাও রয়েছে।
ধাক্কা খাবেন কারা?
২১ ডিসেম্বরের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির বিষয়টি। সেদিনই সব কিছু চূড়ান্ত হবে। বিসিসিআইয়ের সূত্রকে উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, রাহানে, ঋদ্ধিমান ও ইশান্তকে বোর্ডের চুক্তির বাইরে রাখা হতে পারে। রাহানে ও ইশান্তের নাম দল নির্বাচনী বৈঠকে বিবেচিত হচ্ছে না। ঋদ্ধিকে তো বলেই দেওয়া হয়েছে তাঁকে আর ভারতীয় দলে নেওয়া হবে না! অন্যদিকে, পদোন্নতি হতে পারে শুভমান গিল ও সূর্যকুমার যাদবের। ভারতের পরবর্তী টি ২০ অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। বোর্ডের চুক্তির গ্রেডেশনে তিনি সি থেকে বি-তে উঠে আসতে পারেন। ১২টি অ্যাজেন্ডা নিয়ে বৈঠকটি হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
পারফরম্যান্স পর্যালোচনা
যদিও জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে যে আলোচ্যসূচি রয়েছে তাতে টি ২০ বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ সফরে একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনার বিষয়টি নেই। অবশ্য সভাপতি চাইলে এই বিষয়ে আলোচনা হতেও পারে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ফলাফল নির্ধারণে আইসিসি ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন বা ডিএলএস মেথডের ব্যবহার করে। কিন্তু ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ব্যবহৃয় হয় ভিজেডি ফর্মুলা। সেই ফর্মুলার প্রবর্তক ভি জয়দেবনকে এককালীন অনুদানের বিষয়টিও আলোচিত হবে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে।
গ্রেডেশনের নিয়ম
বিসিসিআইয়ের গ্রেডেশন অনুয়ায়ী এ প্লাস (A+) চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটাররা বছরে ৭ কোটি টাকা পান। এ-তে থাকা ক্রিকেটাররা পান ৫ কোটি টাকা, বি-তে মেলে ৩ কোটি ও সি-তে ১ কোটি টাকা। নির্বাচকদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতেই তৈরি হয় গ্রেডেশনের তালিকা। এ প্লাস ও এ-তে সেই ক্রিকেটারদেরই রাখা হয় যাঁরা হয় তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত, নয়তো টেস্টের পাশাপাশি অন্তত সাদা বলের একটি ফরম্যাটে নিয়মিত। বি-তে তাঁদের রাখা হয় যাঁরা অন্তত ২টি ফরম্যাটে খেলেন। সি-তে থাকা ক্রিকেটারদের অন্তত একটি ফরম্যাটে খেলা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ফরম্যাট অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেললেও তালিকায় ঠাঁই মেলে। আইসিসি ক্রমতালিকা দেখেই নিশ্চিত হয় প্রোমোশন বা পদ্দোন্নতির বিষয়টি।
পদোন্নতি হবে অনেকের
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিসিআই কর্তা বলেছেন, সি ক্যাটেগরিতে থাকা সূর্যকুমার যাদব গত এক বছরে যা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তাতে এবার অন্তত তাঁকে বি-তে নিয়ে যাওয়া উচিত। এ ক্যাটেগরি হলে তো আরও ভালো। সূর্য বিশ্বের ১ নম্বর টি ২০ ব্যাটার, একদিনের আন্তর্জাতিক দলেও নিয়মিত সুযোগের বড় দাবিদার। সূর্যর পাশাপাশি শুভমান গিল রয়েছেন সি ক্যাটেগরিতে। তিনি টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলছেন। ফলে তিনিও বি-তে উঠে আসতে পারেন। গ্রেডেশনের তালিকায় নাম থাকবে ঈশান কিষাণেরও। চোটের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। বোর্ডের চুক্তিতে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল সি-তে। এবার তাঁর পদোন্নতিও নিশ্চিত।
শুভমান গিলের প্রশংসা রাহুলের, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারত আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলবে