আয়োজক ভারতই প্রথম পছন্দ, আইপিএল ২০২১-এর নিলাম কবে, বিসিসিআই সূত্রে আভাস!
হাতে আর বিন্দুমাত্র সময় নেই। তার ওপর করোনা ভাইরাসের খাড়া। সেই সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে ২০২১ সালের আইপিএলও জামকালো ভাবেই আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর বিসিসিআই। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরের। আগামী আইপিএলের নিলাম কবে এবং কোথায় হবে, তার একটা আবছা আভাস পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যে। অতিমারী পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তাও কমবেশি জানা গিয়েছে বলা চলে।

মিনি নিলাম কবে
সময়ের অভাবে ২০২১ সালের আইপিএলে যে মেগা নিলাম হচ্ছে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে মিনি নিলামের দিন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বিসিসিআই কার্যত ঠিক করে ফেলেছে বলে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে গত ৪ জানুয়ারি টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্ভবত ১১ ফেব্রুয়ারি আইপিএলের চলতি সংস্করণের নিলামের আসর বসানো হতে পারে বলে খবর। ওই বৈঠকের পর নাকি আইপিএলের ট্রান্সফার উইন্ডো খুলে দেওয়া হয়েছে। টুর্নামন্টে অংশ নেওয়া দলগুলিকে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রিকেটারদের ছাড়তে পারবেন বলে সূত্রের খবর।

ভারত না আরব আমিরশাহী
চলতি বছরের এপ্রিলে আইপিএলের আসর বসাতে বদ্ধপরিকর। তবে কোভিড ১৯-এর প্রভাব না কমায় ভারতে আদৌ আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ফের সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সম্ভাবনাও খোলা রাখা হচ্ছে বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর। তবে এর উল্টোটা যাতে হয়, তারই চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই।

ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নজর
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। জৈব সুরক্ষা বলয় এবং কড়া নজরদারিতে দেশে এই টুর্নামেন্ট কতটা সফলভাবে আয়োজন করা সম্ভব, তার ওপর আইপিএলের ভবিষ্যত নির্ভর করবে বলে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ ফের দেশের বাইরে যাক, তেমনটা বিসিসিআই চায় না বলে এক রিপোর্টে দবি করা হয়েছে।

আমিরশাহীতে সফল আইপিএল
করোনা ভাইরাসের আবহে ২০২০ সালের আইপিএল হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। দর্শক শূন্য মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সব ম্যাচ। ফলে এবারের আইপিএল টিভি ভিউয়ারশিপ রেকর্ড গড়েছে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। তারই নিরিখে আরও একবার আরব দেশে টুর্নামেন্ট হল খুব একটা খারাপ হবে না বলেও মত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
