আইপিএল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের! দুটি শহরে লিগ কবে থেকে শুরু?
আইপিএলের দামামা বেজে গিয়েছে। দশটি দলই ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুন অভিযানে নামার জন্য প্রস্তুত। আটের পরিবর্তে আইপিএলে এবার দলের সংখ্যা বেড়ে ১০। এবার থেকে খেলবে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও গুজরাত টাইটান্স। তবে আইপিএলের লিগ পর্বের খেলাগুলি মহারাষ্ট্রের মুম্বই ও পুনেতেই করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বিসিসিআই।
বোর্ডের কাছে টুর্নামেন্ট সম্প্রচারকারী স্টারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল, ২৭ মার্চের পরিবর্তে ২৬ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু করার জন্য। বোর্ড বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল। দিন সাতেকের মধ্যেই আইপিএলের ক্রীড়াসূচি প্রকাশিত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, ২৬ মার্চ থেকে আইপিএল শুরুর পরিকল্পনা নিয়েই সূচি তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। ২৬ মার্চ শনিবার হওয়ায় প্রথম উইকেন্ডেই ডাবল হেডার রাখা যেতে পারে।
আইপিএলের লিগ পর্বের খেলাগুলি এবার অনুষ্ঠিত হবে মহারাষ্ট্রেই। মুম্বইয়েই বেশি ম্যাচ, পুনেতেও কিছু ম্যাচ হতে পারে। তবে কোনও দলকেই বিমানযাত্রা করতে হবে না। পুনেতে প্রয়োজনে সড়কপথে খেলতে যাবে দলগুলি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়াম, ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের পাশাপাশি সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে জিও স্টেডিয়ামকে রাখতে রিলায়েন্সের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে বিসিসিআই। আমেদাবাদেই প্লে অফ হওয়ার সম্ভাবনা। তবে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, ইডেনেও আইপিএলের প্লে অফের ম্যাচ হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উপর। উল্লেখ্য, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজ আমেদাবাদে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হলেও, ইডেনে ধাপে ধাপে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত মিডিয়া স্বত্ত্বের টেন্ডারও শীঘ্রই ছাড়বে বিসিসিআই। দুই মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সেরে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আইপিএলের জনপ্রিয়তা ও অগ্রগতির ফলে এই মিডিয়া স্বত্ত্বের বিপুল দর যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। মনে করা হচ্ছে, তা পৌঁছে যেতে পারে ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে। টিভি ও ডিজিটালের জন্য আলাদা বিডের ব্যবস্থা করাও হতে পারে। আইপিএলে নতুন দুই দলের যোগ হওয়ার পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ডিজিটাল গ্রোথের কারণেই মিডিয়া রাইটস সর্বকালীন রেকর্ড গড়তে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে ২০২২ অবধি স্টার ইন্ডিয়া (যা ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির অধীনস্থ) বিসিসিআইকে ১৬৩.৪৮ কোটি টাকা দিয়েছিল। তবে এবার ডিজিটালের বিড আলাদা হলে সেজন্য ঝাঁপাতে পারে অ্যামাজন।